০৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ | ই-পেপার

শরীয়তপুরে স্কুল শিক্ষক হত্যা: ৪ জনের ফাঁসি, ৯ জনের যাবজ্জীবন

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৬৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১১ বছর আগে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস ছামাদ আজাদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাতবর, জুলহাস মাতবর ও চান মিয়া। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্লা, আজিজুল মাতবর, ফারুক খান, আজাহার মাতবর, মীজান মীর, আকতার গাজী, জলিল মাতবর, এমদাদ মাতবর ও লাল মিয়া। তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে। আজিবর বালী, আবদুল খন্দকার, খোকন বেপারী, আজাহার মোল্লা ও ছোরাব মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান। জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আবদুস ছামাদ আজাদ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লার কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি এলাকায় পোস্টারিং করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হালিম মোল্লা হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ওই অবস্থায় ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শিক্ষক ছামাদ আজাদ সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন সন্তোষপুর বাস স্টেশনস্থ লক্ষ্মীর মোডের বাবুল মুন্সির কোকারিজের দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার ওপর আসার পরই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে রহিম পেদা, ওয়াজেদ শীল, সেলিম ফকির, ইসাহাক মুন্সী ও বিশ্বজিৎ শীল গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিবর বালীসহ ৩০ জন এবং অজ্ঞাতামানা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে পালং থানায় একটি মামলা করেন নিহত আজাদের স্ত্রী একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর একই বছর ১৪ আগস্ট একই থানার এস আই শহীদুল ইসলাম ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলাটি নারাজির ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তে যায়। অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ মে একই থানার এস আই সুলতান মাহমুদ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য শরীয়তপুরের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে ২০১৪ সালে যায়। সেখানে ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। পরে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ওই বছর ২১ জুন মামলার নথি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসার পর একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা

শরীয়তপুরে স্কুল শিক্ষক হত্যা: ৪ জনের ফাঁসি, ৯ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১১ বছর আগে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস ছামাদ আজাদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাতবর, জুলহাস মাতবর ও চান মিয়া। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম মোল্লা, আজিজুল মাতবর, ফারুক খান, আজাহার মাতবর, মীজান মীর, আকতার গাজী, জলিল মাতবর, এমদাদ মাতবর ও লাল মিয়া। তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে। আজিবর বালী, আবদুল খন্দকার, খোকন বেপারী, আজাহার মোল্লা ও ছোরাব মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান। জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আবদুস ছামাদ আজাদ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লার কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি এলাকায় পোস্টারিং করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হালিম মোল্লা হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ওই অবস্থায় ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শিক্ষক ছামাদ আজাদ সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন সন্তোষপুর বাস স্টেশনস্থ লক্ষ্মীর মোডের বাবুল মুন্সির কোকারিজের দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার ওপর আসার পরই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে রহিম পেদা, ওয়াজেদ শীল, সেলিম ফকির, ইসাহাক মুন্সী ও বিশ্বজিৎ শীল গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিবর বালীসহ ৩০ জন এবং অজ্ঞাতামানা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে পালং থানায় একটি মামলা করেন নিহত আজাদের স্ত্রী একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর একই বছর ১৪ আগস্ট একই থানার এস আই শহীদুল ইসলাম ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলাটি নারাজির ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তে যায়। অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ মে একই থানার এস আই সুলতান মাহমুদ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য শরীয়তপুরের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে ২০১৪ সালে যায়। সেখানে ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। পরে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ওই বছর ২১ জুন মামলার নথি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসার পর একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।