নিজস্ব প্রতিবেদক :
শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্পিকার বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিম-লে সবসময় মানবাধিকারের গুরুত্ব নিয়ে সোচ্চার থাকে জানিয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংঘাতময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে ২০০০ সালে জাতিসংঘ রেজুলেশন এক হাজার ৩২৫ নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা গ্রহণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার নারীদের সম্পৃক্তকরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের সমঅংশগ্রহণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৯ সালে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। নারীদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ফলে সবক্ষেত্রে নারীদের দৃশ্যমান উপস্থিতি রয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংস্থার (বিএনপিএস) নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির। এ সময় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেন্ডার এক্সপার্ট শিপা হাফিজা। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ইউএন উইং) তৌফিক ইসলাম শাথিল। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডা হাইকমিশনের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) ব্র্যাডলি কোটস, ইউএন ওমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলি সিং এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।