০৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত দুই বছর শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। নতুন করে সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি তাদের আগামীর দিনগুলো সুন্দর হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আগের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। হয়তো এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ সম্ভব না। আশা করছি এই শিক্ষাবর্ষ এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে যেখানে যত ঘাটতি সব পূরণ করা সম্ভব হবে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ সময় এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের ক্লাসও আজ শুরু হয়েছে। মাধ্যমিকের ক্লাস আগেই শুরু হয়েছে। আশা করছি, শিগগির স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রমে ফিরে যেতে পারবো। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলবো, তারা যাতে শুরুর দিকের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণে কিছু পদক্ষেপ নেয়। পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি বইগুলো ভালো হবে। চেষ্টা করা হয়েছে বইগুলো ভুলত্রুটি মুক্ত রাখতে। তবে একবারেই তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের রিভিউ কমিটি আছে। তারা আবার রিভিউ করবে। আগামী দিনে আমাদের পাঠ্যপুস্তক আরও ভালো হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই, যেখানে তারা আনন্দের সঙ্গে শিখবে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে, মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে। সেই জায়গা থেকে বইয়ের বড় ভূমিকা আছে।
৭ কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় দাবি যৌক্তিক নয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দাবি তুলেছেন, তা ‘যৌক্তিক নয়’ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক যে সাত কলেজে আগে কিছু সমস্যা ছিল, যা খুবই স্বাভাবিক। যখন থেকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়, তখন থেকেই তাদের মানের ভিন্নতা আসে। পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম ভিন্ন মানে করতে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থীর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি শিক্ষার্থী এ অধিভুক্ত সাত কলেজে। ফলে দুদিক থেকে সমন্বয়ের ব্যাপার রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে সাত কলেজের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা হচ্ছে। আমরাও সাত কলেজের সঙ্গে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা সমন্বয় করছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সে কারণেই সেশনজট এখন অনেকটাই কমে এসেছে। আশা করি, সেশনজট সমস্যা আর থাকবে না। পরীক্ষার ফলাফলও যথাসময়ে দিতে পারবে। সেভাবেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোকে যেভাবে দেখা দরকার সেভাবেই দেখবে। কাজেই আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করা কোনো সমাধান নয়। এটাকে এই মুহূর্তে আমি কোনো যৌক্তিক দাবি বলে ভাবছি না। সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে উন্নীত হচ্ছে, এটিই আমাদের জন্য যথার্থ মনে করি। দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছে। এ নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করতেও দেখা যায় তাদের।
নতুন পাঠ্যবইয়ের সংকট দ্রুত পুষিয়ে আনা হবে: উচ্চ মাধ্যমিকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নতুন পাঠ্যবইয়ের সংকট দ্রুত পুষিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা কলেজে মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘রাজনীতির কবি’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ বিতরণ ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন-২০২২ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দুই শিক্ষাবর্ষে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠা হবে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন নিয়মিত ক্লাস হবে। তিনি আরও বলেন, আজ একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা কলেজে উপস্থিত হলেও আমি কথা বলছি সব শিক্ষার্থীদের জন্য। করোনার এ দীর্ঘ সময়ে এক ধরনের ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমরা আশাকরি, ক্লাস শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের দ্রুত গুছিয়ে নেবে। আগের সব ঘাটতি পূরণ করতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের যিনি জন্ম দেন তিনিই শুধু আমাদের মা নন, ভাষাও আমাদের মা, দেশও আমাদের মা। এ ‘তিন’ মাকে যখন একসঙ্গে ভালোবাসতে পারবেন তখনই বিশ্বের বুকে আপনি একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের কারাদ-

শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৮:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত দুই বছর শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। নতুন করে সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি তাদের আগামীর দিনগুলো সুন্দর হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আগের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। হয়তো এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ সম্ভব না। আশা করছি এই শিক্ষাবর্ষ এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে যেখানে যত ঘাটতি সব পূরণ করা সম্ভব হবে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ সময় এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের ক্লাসও আজ শুরু হয়েছে। মাধ্যমিকের ক্লাস আগেই শুরু হয়েছে। আশা করছি, শিগগির স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রমে ফিরে যেতে পারবো। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলবো, তারা যাতে শুরুর দিকের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণে কিছু পদক্ষেপ নেয়। পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি বইগুলো ভালো হবে। চেষ্টা করা হয়েছে বইগুলো ভুলত্রুটি মুক্ত রাখতে। তবে একবারেই তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের রিভিউ কমিটি আছে। তারা আবার রিভিউ করবে। আগামী দিনে আমাদের পাঠ্যপুস্তক আরও ভালো হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই, যেখানে তারা আনন্দের সঙ্গে শিখবে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে, মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে। সেই জায়গা থেকে বইয়ের বড় ভূমিকা আছে।
৭ কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় দাবি যৌক্তিক নয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দাবি তুলেছেন, তা ‘যৌক্তিক নয়’ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক যে সাত কলেজে আগে কিছু সমস্যা ছিল, যা খুবই স্বাভাবিক। যখন থেকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়, তখন থেকেই তাদের মানের ভিন্নতা আসে। পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম ভিন্ন মানে করতে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থীর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি শিক্ষার্থী এ অধিভুক্ত সাত কলেজে। ফলে দুদিক থেকে সমন্বয়ের ব্যাপার রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে সাত কলেজের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা হচ্ছে। আমরাও সাত কলেজের সঙ্গে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা সমন্বয় করছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সে কারণেই সেশনজট এখন অনেকটাই কমে এসেছে। আশা করি, সেশনজট সমস্যা আর থাকবে না। পরীক্ষার ফলাফলও যথাসময়ে দিতে পারবে। সেভাবেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোকে যেভাবে দেখা দরকার সেভাবেই দেখবে। কাজেই আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করা কোনো সমাধান নয়। এটাকে এই মুহূর্তে আমি কোনো যৌক্তিক দাবি বলে ভাবছি না। সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে উন্নীত হচ্ছে, এটিই আমাদের জন্য যথার্থ মনে করি। দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছে। এ নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করতেও দেখা যায় তাদের।
নতুন পাঠ্যবইয়ের সংকট দ্রুত পুষিয়ে আনা হবে: উচ্চ মাধ্যমিকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নতুন পাঠ্যবইয়ের সংকট দ্রুত পুষিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা কলেজে মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘রাজনীতির কবি’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ বিতরণ ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন-২০২২ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দুই শিক্ষাবর্ষে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠা হবে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন নিয়মিত ক্লাস হবে। তিনি আরও বলেন, আজ একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা কলেজে উপস্থিত হলেও আমি কথা বলছি সব শিক্ষার্থীদের জন্য। করোনার এ দীর্ঘ সময়ে এক ধরনের ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমরা আশাকরি, ক্লাস শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের দ্রুত গুছিয়ে নেবে। আগের সব ঘাটতি পূরণ করতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের যিনি জন্ম দেন তিনিই শুধু আমাদের মা নন, ভাষাও আমাদের মা, দেশও আমাদের মা। এ ‘তিন’ মাকে যখন একসঙ্গে ভালোবাসতে পারবেন তখনই বিশ্বের বুকে আপনি একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।