• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

সরকার দেশের উন্নয়নে, দেশের স্বার্থে কাজ করে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ২৮৯ Time View
Update : রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনচেতা হলে ও দেশকে ভালোবাসলে অনেক বাধা আসে। কিন্তু কোনো বাধাই আমাকে দেশের উন্নয়নের কার্যক্রম থেকে সরাতে পারবে না। চলার পথ যতই বন্ধুর হোক, আমার সরকার দেশের উন্নয়নে, দেশের স্বার্থে কাজ করে যাবে।  রোববার সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ একদিনে হয়নি। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার ফলে এ উত্তরণ সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সুফল এটি। এ কারণেই উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে। অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। এ সাফল্য ধরে রেখে সামনে আরও এগোনোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপেুর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ টেকসই করতে একটি ‘মসৃণ উন্নয়ন কৌশল’ হাতে নেওয়া হয়েছে। কার্যকর কৌশল প্রণয়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে একজোটে কাজ করতে হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের জন্য কাজ করতে হবে। কারণ আগামীতে নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নেবে। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের উন্নয়নে নেওয়া কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯১ সালে দলীয় নীতিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা যুক্ত করে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সে অনুযায়ী কার্যক্রম নেওয়া হয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে উন্নীত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারায় পরের আট বছর তার ধারাবাহিকতা থাকেনি। এরপর ক্ষমতায় এসেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে বর্তমানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও আয় করা যাচ্ছে। এখন আর উন্নয়ন শুধু রাজধানী বা শহরকেন্দ্রিক নয়। গ্রামেও সমানভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, দারিদ্র্য নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সরকার কাজ করছে। বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। বিজ্ঞান, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকার প্রধান বলেন, দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু জমি বাড়ছে না। এজন্য কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যাতে কম জমিতে বেশি ফসল ফলানো যায়। এতে উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য মজুদ নিরাপদ করার জন্য প্রয়োজনীয় সাইলো নির্মাণ করা হয়েছে। নৌ, রেল, আকাশ, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন করা হচ্ছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। আমরা কোনো মানুষকে গৃহহীন, ভূমিহীন রাখবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মোবাইল ফোন এখন সবার হাতে। ফোরজি সেবা চালু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ফাইভ জিও চালু করা হয়েছে। করোনা মহামারী প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা শুধু বাংলাদেশকে নয়, পুরো বিশ্বকেই ধরাশায়ী করেছে। এর মধ্যেও সরকার বিনামুল্যে টিকার ব্যবস্থা করেছে। ইতোমধ্যে ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বুষ্টার ডোজও শুরু করা হয়েছে। বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের স্বীকৃতি পাওয়ার কৃতীত্বের জন্য তিনি নিজের দল আওয়ামী লীগ, প্রজাতন্ত্রের কর্মী, ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞ, বন্ধু প্রতিম দেশ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তি যুদ্ধের শহীদদের ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্মরণ করেন। এ সময় তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিজের পরিবারের সকল সদস্যকে হারানো, দুই বোনের প্রবাসী জীবন, দেশে ফিরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনবালী স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ষ্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। ভিডিও বার্তায় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকা, ইউএনডিপির প্রতিনিধিরা এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানান এবং আগামীতে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ভিডিও বার্তায় তাদের অবস্থার পরিবর্তন তুলে ধরেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category