নিজস্ব প্রতিবেদক :
জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান ধরনের আলোচনা হবে। এ ইস্যুটিকে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরতে ছাত্রলীগকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হওযার অনুরোধ করেছেন তত্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান। হাছান মাহমুদ বলেন, জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা হবে, নানান ধরনের মতামত আসবে। আমি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাবো, শুধু সেলফি তুলে পোস্ট না করে এগুলো নিয়ে একটু সরব হওয়ার জন্য। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন সবচেয়ে বড় যোগাযোগ মাধ্যম। জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ উল্লেখ্ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (২০২১-২২) আমাদের সরকার জ¦ালানি ও বিদ্যুত খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। কিন্তু আশেপাশের দেশগুলো সেভাবে ভর্তুকি দেয়নি। আশেপাশের দেশগুলোতে জ¦ালানি তেলের মূল্য অনেক আগেই বাড়ানো হয়েছে। পাশর্^বর্তী দেশ ভারতে এক লিটার ডিজেলের দাম বাংলাদেশি টাকায় ১১৪ টাকা করা হয়েছে অনেক আগে। অকটেনের মূল্য ১৩৪ টাকা আগে থেকেই ছিল। আমাদের দেশে দাম কম হওয়ার কারণে সীমান্ত দিয়ে প্রচুর জ¦ালানি তেল পাচার হয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মূল্য বৃদ্ধি করাতে জ¦ালানি তেলের দাম যে পর্যায়ে গেছে আশপাশের দেশগুলোতে বহু আগে থেকেই ছিল। আশেপাশের দেশগুলোর সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করায় আমাদের দেশে দাম ওইসব দেশগুলোর পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে তা অনেক দেশের তুলনায় কম। আর দেশের পক্ষে এভাবে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব না। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি, এতে সাধারণ মানুষের খরচ কিছুটা বাড়বে। জ¦ালানি তেলের মূল্য যে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ আজ রাতে টেলিভিশনের পর্দা গরম করবেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নানান ধরনের বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। এরমধ্যে সবজান্তা বিশেষজ্ঞই বেশি। পড়েছেন আইন কিন্তু হয়েছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ। যিনি আবার অর্থনীতি পড়েছেন তিনি হয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞ।