• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

সিনহার ২ সহযোগীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

Reporter Name / ২৮৮ Time View
Update : বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মানিলন্ডারিং আইনে করা মামলায় খালাস পাওয়া নিরঞ্জন ও শাহজাহানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তাদের খালাসের রায় বাতিল করে কেন সাজা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুরশীদ আলম নিজেই। গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ফারমার্স ব্যাংকে ব্যাংক-হিসাব (অ্যাকাউন্ট) খোলেন শাহজাহান ও নিরঞ্জন। ঋণের জন্য আবেদনও করেন তারা। তাদের আবেদনে ঋণ অনুমোদন হয়। ফলে তারা মুখ্য অপরাধে প্ররোচনা দিয়েছেন। তবে বিচারিক আদালতের রায়ে তারা সুবিধাভোগী নন বলে খালাস দেওয়া হয়। মুখ্য অপরাধের সহযোগী হিসেবে তাদের খালাসের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করে। গত ৯ নভেম্বর এ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদ- দেন আদালত। এর মধ্যে মানিলন্ডারিংয়ে সাত আর অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদ- দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলার আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। মানিলন্ডারিং আইনে এস কে সিনহাকে সাত বছর কারাদ- ও ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছর ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে চার বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে দেওয়া হয়েছে তিন বছরের কারাদ-। একই মামলায় ব্যাংকটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারীকে তিন বছররে কারাদ- ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহারকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে মাহবুবুল হক চিশতি কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এস কে সিনহা, সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন। অপর ছয় আসামি জামিনে ছিলেন। তারা আদালতে হাজির হন। এদের মধ্যে শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা বাদে অন্যান্যের সাজা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন রায় ঘোষণার পর দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই মামলাটি করেছিল দুদক। ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় দুটি চলতি হিসাব খোলেন। ৭ নভেম্বর তারা দুই কোটি করে চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন। ব্যাংক হিসাব খোলা ও ঋণ আবেদনপত্রে দুজনই বাড়ি নম্বর ৫১, সড়ক নম্বর ১২, সেক্টর ১০, উত্তরা আবাসিক এলাকা- এই ঠিকানা উল্লেখ করেন। ওই বাড়িটি সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ঋণ আবেদনে জামানত হিসেবে রণজিৎ চন্দ্র সাহার স্ত্রী সান্ত্রী রায় সিমির সাভারের ৩২ শতাংশ জমি দেখানো হয়। এ দুজনই এস কে সিনহার পূর্বপরিচিত। ঋণ আবেদন দুটি কোনো রকম যাচাই-বাছাই করা হয়নি। রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ ও ব্যাংকের নিয়মনীতিও মানা হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category