• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন

সুন্দরবনে বাঘ-হরিণ-কুমির-বানরের সংখ্যা জানালেন মন্ত্রী

Reporter Name / ২৭৩ Time View
Update : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম বাঘ গণনা করা হয় জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ২০১৫ সালে সুন্দরবনের বাঘ গণনা করে ১০৬টি বাঘ পাওয়া যায় এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। এ ছাড়া সমগ্র সুন্দরবনে এক লাখ থেকে দেড় লাখ হরিণ, ১৬৫ থেকে ২০০টি কুমির এবং ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বানর রয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়। মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ ও কুমির নিধন বন্ধে সরকার ২০১২ সালে বন অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও র‌্যাবের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে সুন্দরবন থেকে দুষ্কৃতকারী, জলদস্যু বিতাড়িত করা হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পশু বাঘ রক্ষায় ‘ইধহমষধফবংয ঞরমবৎ অপঃরড়হ চষধহ’ (২০১৯-২০২৭) প্রণয়ন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী অপরাধ বন্ধে বনকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে স্মার্ট (ঝগঅজঞ-ঝঢ়ধঃরধষ গড়হরঃড়ৎরহম অহফ জবঢ়ড়ৎঃরহম ঞড়ড়ষ) টহল ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। ওই বিশেষ টহল ব্যবস্থায় দ্রুতগামী জলযান ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সুন্দবনের চারটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পরিমাণ পূর্বের ২৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫২ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী প্রজনন মৌসুম জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে সুন্দরবনে সব ধরনের পাশ-পারমিট বন্ধ রাখা হয়। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালীদের বাঘ, হরিণ ও কুমির নিধন বন্ধে নিয়মিত সচেতনতামূলক সভা ও উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী পাচাররোধে দুবলার চরে রাসমেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের রক্ষিত বন-ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত চারটি রেঞ্জে চারটিসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি, প্রতিটি গ্রামে পিপলস ফোরাম, ভিলেজ কনজারভেশন ফোরাম, কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপ কার্যকর রয়েছে। এছাড়াও সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করাসহ সুন্দরবনে বাঘ ও কুমিরের আক্রমণে নিহত বা আহত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category