নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক ও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। এ ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নথিগুলো কোথায় গেলো, কে বা কারা সরালো, কেন সরালো- সেটাই আজ জনমনে বড় প্রশ্ন। এ কথা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, ওই বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া বাইরের কারো ফাইলগুলো সম্পর্কে জানার কথা নয়। মঙ্গলবার পার্টি চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। নেতৃদ্বয় বলেন, ফাইলগুলো যে বা যারাই সরাক, এর পেছনে যে দুর্নীতিবাজদের হাত রয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। দেশবাসী মনে করছে, গায়েব ফাইলগুলোতে মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ আছে। প্রমাণ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ফাইলগুলো গায়েব করা হয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিককালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর এরইমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। দেশবাসীর মনে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, অনিয়ম-দুর্নীতির বাইরে একটি সুইও বোধহয় কেনা সম্ভব নয় বা সম্ভব হয়নি। এরকম গণধারণা কোনো মন্ত্রণালয় বা তার বিভিন্ন অঙ্গের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপমানজনক। তারা আরও বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে পদস্থ কর্মকর্তা এবং এমনকি স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনা কতটা গুরুতর হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করতে পারে সাধারণ মানুষ। বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এমন অবহেলাও শুভ নয়। ফাইল গায়েবের ঘটনায় স্পষ্ট যে, আমাদের দেশে ফাইল বা নথি তথ্য সংরক্ষণে পূর্ণ সতর্কতা ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্রের অতিগোপনীয় ফাইল বা নথি-তথ্যও চুরি বা গায়েব হতে পারে। পাচার হতে পারে দেশের বাইরে। অতিগোপনীয় ফাইল ও নথি-তথ্য উপযুক্ত ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাইল গায়েবের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাক, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।