নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স¤্রাটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সামাজী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আদেশ দেওয়ার সময় হাইকোর্ট বলেন, স¤্রাটের জামিন দেওয়ার বিষয়টি ‘ঘোড়ার আগে গাড়ি চলা’র মতো। স¤্রাটের জামিন বাতিলের ক্ষেত্রে আদালত বলেন, অভিযুক্তের (স¤্রাটের) জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বিচারিক মানসিকতা দেখাননি। কোনো মেডিকেল রিপোর্ট না দেখে অসুস্থতা বিবেচনায় তিনি জামিন দিয়েছেন। যথাযথ মেডিকেল রিপোর্ট না দেখে অসুস্থতা বিবেচনায় কখনোই কোনো অভিযুক্তের জামিন হতে পারে না। শুধু তাই না, অভিযুক্তের জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযুক্তের অপরাধ ও তার বিরুদ্ধে হওয়া এই মামলার গুরুত্বও বিবেচনায় নেননি। এ জামিনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন ও আপিল বিভাগের নির্দেশনার ভুল প্রয়োগ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিচারক। ভবিষ্যতে যাতে এমনটি না ঘটে তার জন্য অবশ্যই তাকে সতর্ক থাকতে হবে। বিচারিক মানসিকতা বজায় রাখতে হবে। স¤্রাটের আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, নিম্ন আদালতের আদেশে সামান্য ত্রুটির কারণে জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। স¤্রাট এখনও অসুস্থ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায়ের সিসিইউতে ভর্তি। আমি এটা আদালতে বলিছি। বিচারিক আদালতে স¤্রাটকে জামিন দেওয়া বিচারকের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট চাইলেন, কিন্তু সেটা না দেখেই জামিন দেওয়া তো ঘোড়ার আগে গাড়ি চলার মতো হয়ে গেলো। এ সময় ওই বিচারককে সতর্ক করেন হাইকোর্ট। এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১১ মে জামিন পান স¤্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তিন শর্তে ৯ জুন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এরপর চার মামলার সব কটিতে জামিন পাওয়ায় ওই দিনই মুক্তি পান স¤্রাট। সেদিন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখনো এই হাসপাতালে রয়েছেন। স¤্রাটের পক্ষে গতকাল বুধবার আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সামাজী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম জানান, শুনানিতে আদালত ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, জামিন দেওয়া আদালতের ওই বিচারককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার জন্য ওই বিচারককে সতর্ক করেন হাইকোর্ট।