নিজস্ব প্রতিবেদক :
সড়কে ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তাতে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও উন্নত সড়ক পরিবহণ অবকাঠামো এবং পরিচালন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। সেজন্য ১২২ কোটি ৩ লাখ টাকার ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। তার মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং কোরিয়া ঋণ সহায়তা দেবে ৮৩ কোটি ২০ লাখ টাকা আসবে। প্রকল্পের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে। আর সেখান থেকে ওই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির সড়ক ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওই পদ্ধতি প্রথম চালু করা হবে। কারণ পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ওই সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে দুর্ঘটনাও বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশের প্রধান সড়কগুলো ওই পদ্ধতির আওতায় আনা হবে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ এবং গতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান যানবাহনকে নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্যও ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমস (আইটিএস) গুরুত্বপূর্ণ। ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে সড়ক নেটওয়ার্ককে একটি একক নজরদারি ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে। ফলে সময় ও জ¦ালানি সাশ্রয়ী, যানজট ও দূষণমুক্ত এবং সর্বোপরি দুর্ঘটনামুক্ত একটি দক্ষ সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে। পরীক্ষামূলক (পাইলট) প্রকল্প হিসাবে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের (এন-৮) ৪০ কিলোমিটার সড়কের আইটিএস বাস্তবায়ন করার জন্য সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ওই কারিগরি সহায়তা (টিএপিপি) প্রকল্পটির প্রস্তাব করেছে।
সূত্র জানায়, আইটিএস প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আইটিএস সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়বে। প্রতিষ্ঠিত হবে দুর্ঘটনামুক্ত একটি দক্ষ সড়ক নেটওয়ার্ক। পাশাপাশি দেশে বিদ্যমান আইন, বিধিমালাগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি সড়ক মাস্টার প্ল্যানও তৈরি করা হবে।
এদিকে এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠান জানান, আইটিএস একটি আধুনিক ও নতুন সিস্টেম। এর মাধ্যমে যানবাহনগুলোকে রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে। ফলে কোথায় যানজট আছে বা কোনো সমস্যা আছে কিনা সেসব নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে। ফলে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে। পাইলট ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। সফলতা এলে পর্যায়ক্রমে পুরো দেশের সব সড়ক এই সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।