• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

১০০ সড়ক জাতির জন্য বিজয়ের মাসের উপহার: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ৮১ Time View
Update : বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
যারা বলে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে, দেশের কোন উন্নয়ন করে নাই তাদের কাঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১শ’টি সড়ক এবং মহাসড়ক খুলে দেয়ার পর বলেছেন, এগুলো তাঁর পক্ষ থেকে জাতির জন্য বিজয়ের মাসের উপহার। তিনি বলেন, আমাদের শুনতে হয় আওয়ামী লীগ সরকার দেশটা ধ্বংস করে দিয়েছে। এর আগে ১শ’টা সেতু আমরা একই সাথে উদ্বোধন করলাম আর আজকে আমরা ১শ’টা মহাড়ক নির্মাণ বা উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করলাম। আমি জানি না বাংলাদেশের মানুষ এরপরে যারা বলে আওয়ামী লীগ সরকারে এসে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে, কিছুই নাকি করে নাই, কাজেই দেশের মানুষ তাদের কথা বিশ^াস করবে কি না সেটাই আমার প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি সম্মিলিতভাবে মোট ২০২১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়ক ও মহাসড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। শত সড়ক-মহাসড়ক খুলে দেওয়ার পর তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে এটা আমার পক্ষ থেকে জাতির জন্য উপহার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ও অন্যান্য সরকারের আমলের তুলনা করে জনগণকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, কাজেই সেই কথাটা সকলকে স্মরণ রাখতে হবে। যে কখন বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পেল, আর কখন দেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির কবলে পড়ে মানুষের জীবন মান সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছিল, সেটা সকলকে স্মরণ করে সেই তুলনা করেই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কি চান। শেখ হাসিনা বলেন, এই সুবিধাগুলো যতটুকুই আপনারা পেয়েছেন, তাতে ’৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বলেই পেয়েছেন। আর স্বাধীনতার পর সেই ’৭২ সাল থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তোলার পথে যত সড়ক ও সেতু নির্মাণ ও পুণর্নির্মাণ করেছে এর বাইরে যারা ক্ষমতায় ছিল ’৭৫ পরবর্তী ২১ বছর এবং ২০০১ পরবর্তী ৬ বছরসহ প্রায় ২৯ বছর বা ৩০ বছর তারা দেশের জন্য কি করছে বা কতটুকু উন্নতি করেছে আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে কি করেছে দেশবাসী সেটা অন্তত একটু বিবেচনা করে দেখবেন। তাঁর সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাধ্যমে প্রযুক্তিকে মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসায় অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ নিয়ে মিডিয়ায় নানা ঢালাও সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সত্য মিথ্যা অনেক কিছু বলা যেতে পারে। কিন্তু, আমরা বিশ^াস করি, সাধারণ মানুষের উন্নয়নে, গণমানুষের উন্নত জীবন যাপনের ক্ষেত্রে, জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে, পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, শিক্ষার প্রসার ঘটানো, উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করা, কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত দক্ষ মানব শক্তি গড়ে তোলা এবং বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিটি বাঙালি যাতে তৈরী হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একইসঙ্গে আমরা এদেশের মানুষের শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। বিভিন্ন সময় নানা বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও তাঁর সরকার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যচ্ছে। সম্প্রতি আটটি বিভাগে অধিকাংশ রাস্তা নির্মাণ বা উন্নয়ন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ১০০টি মহাসড়কের মধ্যে ৯৯টি সরকারি তহবিল থেকে সম্পন্ন হয়েছে, বাকি একটি এবং ৭০ কিলোমিটার গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মহাসড়ক পর্যন্ত ৬১৬৮ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এডিবি, ওপেক ও আবুধাবির তহবিলের আওতায়। প্রধানমন্ত্রী এর আগে গত ৭ নভেম্বর সারাদেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকৃত রাস্তাগুলোর মধ্যে শুধু ৭০ কিলোমিটার বিদেশি ঋণে কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে সড়কটি চার লেন করা হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়কের একটি ২২,৭৭৪ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সড়কের সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় বাংলাদেশে আর কোন রাস্তা বাকী নেই। এই ১শ’ সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ এবং আগে যেগুলো করা হয়েছিল সেগুলো উন্নতমানের করা হলো। কাজেই এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদে সড়ক যাতায়াতের একটা বড় সুবিধা হবে। যাতে অর্থনৈতিকভাবে সকল অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত লাভবান হবে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে যোগাযোগের ক্ষেত্রটাকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু সড়ক যোগাযোগ নয় সড়ক পথ, রেলপথ, নদীপথ এবং বিমান প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই আমরা উন্নয়ন করে যাচ্ছি। জাতীয় সড়ক মহাসড়কের বাইরেও উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যন্ত রাস্তা ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে পায়ে চলার পথগুলোও আমরা উন্নত করে দিচ্ছি। সমগ্র গ্রাম পর্যায়েও যোগাযোগের একটা নেটওয়ার্ক আমরা গড়ে তুলেছি। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি যেমন হয়েছে তেমনি চলাচলের সুযোগটাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে চাইলে সর্বোচ্চ ৬/৭ ঘন্টার মধ্যে মানুষ রাজধানীতে আসতে পারছে। তিনি বলেন, উন্নয়নের যে মূল চাবিকাঠি যার একটা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, প্রতি ঘরে আমরা বিদ্যুৎ দিয়েছি, সমগ্র বাংলাদেশকে ইন্টারনেট সার্ভিসের আওতায় এনেছি, ব্রডব্যান্ড দিয়েছি, বঙ্গবন্ধুস্যাটেলাইট-১ আমরা উৎক্ষেপন করেছি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে যত রকম কাজের প্রয়োজন তাঁর সরকার করে যাচ্ছে। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশি হিসেবে গড়ে তুলবো। এই স্মার্ট বাংলাদেশে প্রত্যেকে প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করবে এবং সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে, সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এবং সেটা আমরা কিছু বাস্তবায়নও করছি। তিনি ওই মানিলন্ডারিং, অগ্নি সন্ত্রাসকারী অথবা গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ মানুষ হত্যাকারী, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা থেকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে অন্যের কাছে হাত পাতা, এই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন কেউ যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলেন। যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি বা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, যারা জয় বাংলা স্লোগান দিতে বিশ্বাস করে না, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা এদেশের কোন উন্নতিও চায় না। স্বাধীন বাংলাদেশই তারা চায়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর অভিঘাত থেকে প্রতিনিয়ত আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। এর হাত থেকে রক্ষা করে এ দেশের জনগোষ্ঠীকে একটা উন্নত জীবন দিতে চাই। সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সেটাও প্রণয়ন করে আমরা সেটাও বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি এবং এটা চলমানই থাকবে। সড়কে চলাচলের নিয়ম কানুনগুলো শিশুকাল থেকেই শেখানোর তাগিদ দিয়ে অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবং চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটলে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহবান পুণর্ব্যক্ত করেন। কোন দুর্ঘটনা হলে যিনি দুর্ঘটনা কবলিত অনেক সময় জনগণ তাকে সাহায্য না করে গাড়ি চালককে মারধর করা শুরু করে এবং গণপিটুনিতে গাড়ি চালক মারা যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই কাজটা কেউ দয়া করে করবেন না। কেউ ইচ্ছে করে মানুষকে মারে না বা ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয় না। যদি অপরাধ করে আপনারা ধরেন, পুলিশে দিয়ে দেন, তার বিচার হবে। আমরা সড়ক আইনও করে দিয়েছি এটা বিচারের জন্য। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় কেউ রাস্তায় পড়ে গেলে গণপিটুনির ভয়ে গাড়িচালক গাড়ি না থামিয়ে আরেকবার তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে গেছে। না গেলে হয়তো সে বেঁচেও যেতে পারতো। সরকার প্রধান বলেন, এই ভীতিটা থেকে ড্রাইভারকে মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের দায়িত্ব।
বৈশ্বিক সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকট উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যাতে আমাদের দেশের জনগণকে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আপনারও কিছু দায়িত্ব আছে এবং আপনাকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গত ১৪ ও ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পৃথক নির্বাচনে নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান যথাক্রমে আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও রুহুল আমিনকে শপথবাক্য পড়নোর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদ্বয়কে শপথ বাক্য পাঠ করান। আর জেলা দুটি পরিষদের ১৯ জন নির্বাচিত কাউন্সিলরকে শপথবাক্য পাঠ করান এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সারাদেশে প্রতি ইঞ্চি পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সারাদেশের সব আবাদি জমি যদি চাষের আওতায় আনা যায়- তাহলে দেশে আর কোনো সংকট থাকবে না। এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে নিজের খাবার নিজে উৎপাদনে মানুষকে সচেতন করতে সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি খাতে কঠোরতা দেখাতে এবং সঞ্চয় করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। কেননা বিশ^জুড়ে আমদানি পণ্যের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে- জনপ্রতিনিধিদের স্থানীয় উন্নয়ন তহবিলের যথাযথ ব্যবহার এবং স্থানীয় প্রকল্পের মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে বলেন। তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আপনাকে বরাদ্দকৃত স্থানীয় তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে কারণ উন্নয়নের দিক থেকে কোনো এলাকা পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে তাদের দেখাশোনা করার পরামর্শও দেন। প্রধানমন্ত্রী জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনপ্রতিনিধিদের জন কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর করে দেয়ার সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জনপ্রতিনিধিদেরকেও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সারাদেশে ভূমিহীন ও ভূমিহীনদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ৩৫ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর-বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category