• শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ

Reporter Name / ৪৬২ Time View
Update : সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১২ কেজির এলপিজির সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গঠিত কারিগরি কমিটি। গতকাল সোমবার এলপিজির মূল্য সমন্বয়ের শুনানিতে কমিশন গঠিত কারিগরি কমিটি এ সুপারিশ করে। কমিশনের কারিগরি কমিটি এলপিজি অপারেটরদের অন্য দাবিগুলো নাকচ করলেও ডিস্ট্রিবিউটর (পরিবেশক) এবং রিটেইলার (খুচরা বিক্রেতা) কমিশন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। শুনানিতে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তরফ থেকে বলা হয়েছে, আইনগত দিক বিবেচনা করলে এলপিজি অপারেটরদের এই আবেদন আমলে নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে শুনানিতে কমিশনের সদস্য, অপারেটর প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিকে এবং সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কমিশন গঠিত কারিগরি কমিটির সুপারিশে বলা হয়, সৌদি সিপি অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের এলপিজির সরবরাহ ব্যয় ৯১.৪৮ টাকা প্রতিকেজি হিসেবে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৯৭ টাকা ৭৬ পয়সা করার সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বলছে, এলপিজি বোতলজাত এবং মজুতে চার্জ অপরিবর্তিত রাখতে চায়। তবে পরিবেশক এবং খুচরা বিক্রেতার কমিশন বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছে কারিগরি কমিটি। গত ১২ জানুয়ারি এলপিজির প্রথম দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানির পর এপ্রিল মাসে প্রথমবার এলপিজির দাম নির্ধারণ করে কমিশন। কিন্তু কমিশন ঘোষিত দামে এলপিজি বিক্রি করছে না অপারেটররা। তারা দাবি করছে, এলপিজির দাম বৃদ্ধি যথাযথ হয়নি। কমিশনের শুনানিতে ক্যাবের জ¦ালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, বাজারে একটি ১২ কোজি এলপিজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ১০০ টাকা। সেখানে সমপরিমাণ এলপিজির দাম ১৩৮০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। এর জবাবে অপারেটররা বলছেন, এই দামে এলপিজি বিক্রি করা লোকসান। তাই দাম বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। শুনানিতে অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা চলছে। এখন এলপিজির দামের বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হবে। ফলে এই শুনানিতে ভোক্তারা কিছুই পাবে না। তিনি বলেন, কমিশনে ২৯ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে আবেদন করেছে অপারেটররা। কিন্তু কমিশনের আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সঙ্গত কারণে এই আবেদন গ্রহণের যৌক্তিকতা নেই বলে শুনানিতে তিনি জানান। বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের নির্বাহী জাকারিয়া জালাল বলেন, সরকারি এলপিজি বিক্রিতে অপারেটরদের কমিশন ৫০ টাকা, সেখানে বেসরকারি অপারেটরদের ২৪ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। অন্যদিকে সরকারি এলপিজির রিটেইলারদের ৫০ টাকা কমিশন, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলারদের ২৭ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। মাত্র ২৪ টাকা কিংবা ২৭ টাকা কমিশন দিয়ে একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব কিনা জানতে চান তিনি। কমিশন চেয়ারম্যান আবদুল জলিল শুনানিতে বলেন, আমরা দিনভর অপারেটর, ভোক্তা প্রতিনিধিদের কথা শুনেছি। এখন কমিশন এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত জানাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category