• বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী নাইজেরিয়ান চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোকেন পাচার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে বললেন ব্যারিস্টার সুমন পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় নদী শাসনে ব্যয় বাড়ছে পিএসসির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে না রেল ট্রানজিট রাজাকারের পক্ষে স্লোগান সরকারবিরোধী নয়, রাষ্ট্রবিরোধী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র-আলোকচিত্র প্রদর্শনী

২০৩০ সালে ছয়টি এমআরটি লাইন দৃশ্যমান হবে: কাদের

Reporter Name / ৬০ Time View
Update : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০৩০ সালে ছয়টি ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-৬-এর উদ্বোধন খুব বেশি দূরে নয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল উদ্বোধন করবেন। আগামী বছরের ডিসেম্বরে পুরো লাইন চালু হবে। ২০৩০ সালে ছয়টি এমআরটি লাইন দৃশ্যমান করবো। আজ রোববার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেল-১ (এমআরটি লাইন-১)-এর নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এজন্য প্রয়োজন স্মার্ট পরিবহন। পৃথিবী এগিয়ে চলছে, আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। আমরা আজকের বাংলাদেশকে উত্তরাত্তোর পরিবহন খাতে, যোগাযোগ খাতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। সেতুমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় জাইকার যে ফান্ডিং সেটি আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলার একটি গোল্ডেন অপরচ্যুনিটি (সুযোগ) করে দিয়েছে। সেজন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানাই। সম্প্রতি পদত্যাগ করে সেফ এক্সিট নিতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তা না হলে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ বিষষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেবের নিজের সেফ এক্সিট নেই। তার নিজেরই সেটা দরকার। যেভাবে লাঠিসোটা নিয়ে নেমেছেন এবং আবার অগ্নি সন্ত্রাসের আভাস দিচ্ছেন- এর পরিনাম শুভ হবে না। আমরা এক্সিট করবো না, আমরা ফাইটার, ফাইট করবো। বন্দুকের নল আমাদের ক্ষমতার উৎস নয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতির ইতিহাসে ষড়যন্ত্র নেই। সেফ এক্সিট নির্বাচন, এটি সবার জন্য সেফ এক্সিটের জায়গা। আপানার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। যাদের কাছে নালিশ করেন তাদের কোথায় তত্ত্বাবধায়ক আছে? এই ভূত মাথা থেকে নামান। পালিয়েছেন আপনারা, পালানোর দল বিএনপি। তিনি বলেন, কেউ যদি বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোথায়? তিনি তো পালিয়ে আছেন। নির্বাচনে আসেন আমরা প্রস্তুত আছি। জনগণ আপনাদের চাইলে, আমরা সেটিকে গ্রহণ করবো। ওটা ডিসাইড করার ক্ষমতা জনগণের। কয়েক হাজার লোক হলেই শুধু লক্ষ না, লক্ষ-লক্ষ বলা হয়। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনায় কত হয়েছে সেটি সাংবাদিকরা দেখেছেন। এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়মী লীগ কি পালানোর দল, তারা কেন পালাবে? পালিয়েছেন যিনি আপনাদের মূল নেতা। যিনি টেমস নদীর পার থেকে ফরমায়েশ দেন। যার নির্দেশে চলেন তিনি তো কাপুরুষের মতো মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছেন লন্ডনে। দেশে ফেরার সৎ সাহস পেলেন না। তিনি নাকি আবার গণ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেবেন! পাগলে কী না বলে ছাগলে কী না খায়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেবকে বিকেলে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, একটা জেলা সম্মেলনে কত মানুষ হয় দেখার জন্য। লাখ বলে বলে মনকলা খাচ্ছেন চিত্তকে সুখ দেওয়ার জন্য। ভুলে গেছেন, আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে ফুটপাতের উপর আমরা মিটিং করতে পারিনি, বাধা কাকে বলে। মোহাম্মদ নাসিম নেই, মতিয়া চৌধুরীকে পেটানো হয়েছে। সাধারণ একটা সমাবেশে আবদুস সামাদকেও রেহাই দেওয়া হয়নি, তিনিও হাসপাতালে গেছেন। বিএনপি বাধার কথা বলে, জাতীয় পার্টিও বলছে তাদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থা তো আমাদের উপরও ছিল। কি না করেছে তারা। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহও আমি (ওবায়দুল কাদের) আমার ঘরে থাকতে পারিনি। কিন্তু তারা সবাই নিজের ঘরে অবস্থান করছেন। মরা গাঙ্গে জোয়াড় আর আসবে না। গণমাধ্যমকর্মীরা এতদিন পর ঘুমিয়ে থাকাদের জেগে উঠতে দেখে বড় করে ছবি প্রচার করেছে। বিএনপির কর্মসূচির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ কোন পাল্টা কর্মসূচি দেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে কিসের পাল্টাপাল্টি। প্রতিদিন আমাদের প্রোগ্রাম হচ্ছে। লাখ লাখ লোক দেখবেন? আসেন। ২৯ তারিখ ঢাকা মহানগর সম্মেলন করব, সেখানে আসেন। বিএনপির সমাবেশ হলে বাস ধর্মঘট হয়, এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে কি বাস বন্ধ ছিল। বাস-মালিকদের সেটি জিজ্ঞাসা করুন। আমি যখন মন্ত্রী তখন যে তারা (বাস-মালিক) আমাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করেছে। বেসরকারি গাড়ি চালাবে কি না চালাবে সেটি আমি জোর করতে পারি না। আমার বিরুদ্ধে যখন করে তখন আপনারা দেখেন না? অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের মেয়াদে সড়কের বেশি উন্নয়ন হয়েছে। দেশের গ্রামগুলোকেও শহর মনে হয়। এখন খুব অল্পসময়ে যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায়। জনগণের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনও বাড়ছে। ২০২২ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন উত্তরা-আগারগাঁও এলাকায় চালু হবে। ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, সাতজন জাপানি নাগরিক হলি আর্টিসান হামলায় নিহত হয়েছেন। আমরা এমন ট্রাজেডি দুঃখের সঙ্গে স্মরণ করি। তারপরেও উন্নয়ন কর্মসূচিতে একসঙ্গে কাজ করছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্মকা-ে জাপান একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর সফর দুদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে মনে করি। আশা করি, বাংলাদেশ-জাপানের সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, আমাদের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। আমরা আশা করি, তারা আমাদের উন্নয়নকাজে পাশে থাকবেন। মেট্রোরেল আমাদের স্বপ্ন নয় বাস্তবতা, প্রধানমন্ত্রী শিগগির এটির উদ্বোধন করবেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড বক্তৃতা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category