নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে গত ৪ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। ছয়দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী মধ্য আয়ের ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ৬ দিন বন্ধ থাকায় এখন আর রেলস্টেশনগুলোতে নেই তেমন ভিড়। যাত্রীরা এখন নিজেদের মতো করে বিকল্প ভাবছেন। এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ট্রেন বন্ধ থাকার বিষয়টি যাত্রীকে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভাবলেও স্টেশন মাস্টাররা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, রেললাইনে কাজের জন্য অনির্দিস্ট সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কামরুল বলেন, আমাদের এখানে এ কয়দিন হাজার হাজার যাত্রী ভিড় করেছেন। তাদের আমরা জানিয়েছি যে কয়দিন আগে থেকেই এ নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং এ তথ্য প্রচার করা হয়েছে। তবুও অনেকে মানতে চাননি। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের অনেকে তীব্র ক্ষোভ জানান। ৪ ডিসেম্বর থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি বা আসেনি নারায়ণগঞ্জ। এটি কতদিন লাগতে পারে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি। চাষাঢ়া রেলস্টেশন মাস্টার খাজা বলেন, ভোগান্তির কথা অনেকে আমাদের কাছে জানাচ্ছেন যদিও আমরা আগেই তাদের জানিয়েছি বিষয়টি। এখন তারা চাইছেন দ্রুততম সময়ে ট্রেন চালু হোক। এটি বন্ধ তবে কবে চালু হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় এখনো জানানো হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫ রুটে বন্ধ লঞ্চ চলাচল: এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ-চাঁদপুরসহ ৫টি রুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও নৌযান চলাচল। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় টার্মিনাল ঘাটে এ দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় অনেক যাত্রীকে ফিরে যেতে দেখা যায়। লঞ্চের মালিকরা বলছেন, কোনো চাপে বা কারো নির্দেশে নয় বরং যাত্রী নেই বলেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচলকারী ৫ রুটের প্রায় ৫০টি লঞ্চ। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা খুবই কাছে। সহজেই এসব রুটে বিএনপির নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জে জড়ো হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে পারে। আর এ আশঙ্কা থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে নৌযান চলাচল। বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শক সমর কৃষ্ণ বলেন, আমাদের লঞ্চ চলাচল বন্ধের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। লঞ্চ মালিকরা কেন চালাচ্ছেন না এটা তারাই বলতে পারবেন। লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, আমাদের ওপর কোনো নির্দেশনা নেই। সরকারি বা বেসরকারি কেউই কোনো চাপ বা নির্দেশনা দেয়নি। যাত্রী না থাকায় লঞ্চগুলো এমনিতেই বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই। নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মীনা মাহমুদ জানান, লঞ্চ বন্ধ আছে এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই।