• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৭:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
রোয়াংছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাসে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার ১৫ দিনব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন গেটলক সিস্টেম না মানলেই মামলা: ডিএমপি কমিশনার শ্রম আইন সংশোধনে কিছু সিদ্ধান্ত হবে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে: আইনমন্ত্রী বিদেশ নির্ভরতা কমাতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা জরুরি: ইউজিসি উদ্বোধন হলো রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম, ৭ জুন ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ ভারতের নির্বাচনের পরই দীর্ঘমেয়াদি ভিসার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নানক মোহাম্মদপুরে কবে ঠিক হবে রাস্তাগুলো? মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের কনডেম সেল নিয়ে রায়: আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ জিপিএ’র ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি অনলাইনে আবেদন শুরু ২৬ মে

ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

Reporter Name / ১২০ Time View
Update : শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাশিয়া-ইউক্রেণ যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। চলতি বছর ২০২২ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট পোশাক আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ইউরোস্ট্যাট জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ইউরোপীয় বাজারে বৈশ্বিক গড় পোশাক আমদানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। সেখানে শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস হলো চীন। উল্লিখিত সময়ে চীন থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেসময়ে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল বাংলাদেশের। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি করেছে ১১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের। অপরদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উৎস তুরস্ক থেকে পোশাক আমদানি ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে ইউরোপ তুরস্ক থেকে ১০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। একই সময়ে ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস যেমন কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত থেকে আমদানি যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ, ৩২ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বিশ্বব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এর মধ্যেও আমরা আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবৃদ্ধিটা ভালভাবে ধরে রাখতে পেরেছি। তবে আগামী ৩/৪ মাস সেখানে আমাদের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন রাশিয়া-ইউক্রেণ যুদ্ধ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও উচ্চ সুদহার এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরপতনের প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে গেছে। সেকারণে এখন সেখানকার মানুষ পোশাকের ব্যয় কমাচ্ছে। তবে ডিসেম্বরের পর আবার সেখানে পোশাকের চাহিদা বাড়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। ফারুক হাসান বলেন, ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের মত প্রধান প্রধান বাজারের পাশাপাশি ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মত আমাদের উদীয়মান যেসব বাজার রয়েছে-সেখানে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যের বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং ইনোভেটিভ ডিজাউনের পোশাক তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, যাতে রপ্তানি আয় বাড়ানো যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category