• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
রোয়াংছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাসে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার ১৫ দিনব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন গেটলক সিস্টেম না মানলেই মামলা: ডিএমপি কমিশনার শ্রম আইন সংশোধনে কিছু সিদ্ধান্ত হবে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে: আইনমন্ত্রী বিদেশ নির্ভরতা কমাতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা জরুরি: ইউজিসি উদ্বোধন হলো রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম, ৭ জুন ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ ভারতের নির্বাচনের পরই দীর্ঘমেয়াদি ভিসার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নানক মোহাম্মদপুরে কবে ঠিক হবে রাস্তাগুলো? মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের কনডেম সেল নিয়ে রায়: আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ জিপিএ’র ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি অনলাইনে আবেদন শুরু ২৬ মে

কারও প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না: কাদের

Reporter Name / ৮০ Time View
Update : রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কারও প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ হস্তক্ষেপ তো করছে না। তারা পরামর্শ তো দিচ্ছে না। যার যার চিন্তা ভাবনা জানাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। আমরা কথা শুনছি, কথা আমরা শুনবো এবং পরামর্শও নেবো। কিন্তু আমরা কারও নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে থাকবো সেটি ভাবার কারণ নেই। তিনি বলেন, কারও প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। কথা শুনবো, কথা বিনিময় হবে। কিন্তু নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ বিরোধী কণ্ঠ। বাংলাদেশে বিরোধীদলের ব্যর্থতার সীমা নেই। তারা নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ, আন্দোলনেও তেমন। ১০ ডিসেম্বর তো দখল করে ফেলেছিল যে ১১ তারিখ থেকে খালেদা জিয়ার হাতে দেশ থাকবে। এমন অনেক লাগামছাড়া কথা তারা অনেকবার বলেছেন। এটিই হলো বাস্তবতা। বর্তমানে বাংলাদেশে এমন একটি সরকার রয়েছে যারা কিছু লুকাচ্ছে না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কি খাদ্যের অভাবে কেউ মারা গেছে? ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলতে পারেন। জিয়াউর রহমান যখন দেশের প্রেসিডেন্ট তখন রংপুরে অভাবের তাড়নায় ২শ নারী অনৈতিক কাজে নাম লিখিয়েছেন। এ ধরনের দৃশ্যপট এখনও দেখা দেয়নি। আমরা সচেতন আছি। তিনি বলেন, শুনেছি তারা ৩৬ দলের রূপরেখা দিয়ে একদফা আন্দোলন করবেন। সেটি এখনও শুরু হয়নি। শুরু হতে হতে কতদল এখান থেকে কেটে পড়ে সেটি দেখার বিষয়। কতগুলো দল শেষ পর্যন্ত থাকে সেটি দেখার বিষয়। আমরা খবর পেয়েছি ৩৬ দলের মধ্যে দর-কষাকষি চলছে, ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কে কী পাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের অবস্থান আমরা রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। রাজনীতির সঙ্গে যখন সশস্ত্র বা সহিংস কিছু যোগ হবে তখন পরিস্থিতিই বলে দেবে আমরা কী করবো। সেটা তো আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। দেশের জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরাও থাকবো। আমরা তো এরইমধ্যে শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছি। আমাদের ঘোষণাই আছে নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে, রাজপথে সতর্ক থাকবো। বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনি মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞেস করেন তারা সংলাপ করতে রাজি আছেন কি না, এরপর আমরা বিবেচনা করবো। কারণ আমাদের প্রেসিডেন্ট একবার ডেকেছিলেন, নির্বাচন কমিশন দুইবার তাদের ডেকেছে- তারা আসেননি। তাদের মতামত কী সেটা আগে জানান। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে- আমি বলেছি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। কত দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেটা দেখবেন। আমিই সবকিছু এ কথা আমাদের কারও মনে করা ঠিক না। আমি এখনও চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক, সেটা আমরা চাই। সব নিত্যপণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবই নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাংলাদেশের বাজারে আপনাকে ফিক্সড করে দেওয়া নাই যে ছয়টার বেশি ডিম কিনতে পারবেন না, তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবেন না। যেটা উন্নত দেশগুলোতে হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, আপনারা পারেননি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের তেলের দাম ১০ টাকা কমেছে, পেঁয়াজের দাম কমেছে। আমাদের (নিত্যপণ্যের দাম) কমেনি কে বললো? কোনটা উঠেছে, কোনটা বাড়ছে, ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাইরে থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলা যায়। ক্ষমতার মঞ্চে যখন বসবেন, তখন কত ধানে কত চাল এটা বুঝবেন। এ দেশের মানুষকে আমরা কষ্টে থাকতে দেবো না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাজার পরিস্থির ওপর সরকারের সেভাবে হাত ছিল না। বাজার পরিস্থিতি ওঠানামা হবেই। আজকের সংকটে ওঠানামার মাত্রাটা আরও বাড়বেই এটি খুব স্বাভাবিক। সবকিছু সরকারের কড়াকড়ির ওপর নির্ভর করে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু মানুষের গরু কেনার সাধ্য তো আরও বেড়ে গেছে। কাজেই বাজারের ওঠানামাটা ভিন্ন জিনিস। তিনি বলেন, আমরা তো খাদ্যে এখনো ভালো আছি। আমোদের কোনো খাদ্য সংকট এই মুহূর্তে নেই। অপেক্ষে করুন, কিছু বিষয় আছে, ওঠানামার মধ্যেই একসময় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফিরে আসবে সেটা আমরা মনে করি। সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটি প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার ১ কোটি ৪১ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে, গতবার এক কোটির চেয়ে কম কোরবানি হয়েছে। আমাদের অর্থনীতির অবস্থা এমন হয়নি যে ঈদুল আজহায় গরু কোরবানির মতো সাধ্য নেই। মানুষের গরু কেনার সাধ্য আরও বেড়ে গেছে। পদ্মা সেতুতে ঈদের আগের দিন একদিনে ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আয় হয়। বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা টোল দেওয়া হয়েছে। তার মানে বহু মানুষ ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বাড়িতে ছুটে গেছেন। সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মানুষের কষ্ট হবে কোন কারণে সেটি সিন্ডিকেট হোক, যেই এটার কারণ, সেটি একটা বাধা সেই বাধাটা তো দূর করতেই হবে। সিন্ডিকেটের কারণে মূল্যবৃদ্ধির বিষয় যখন ঘটবে তখন সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। সরকার খোঁজখবর নিচ্ছে না এমন নয়। কিন্তু এখানে সরকারের সংশ্লিষ্ট যে মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি এটা লাগাম ছাড়া থাকবে না, একসময় এটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। সিন্ডিকেট বলেন আর যাই বলেন সিন্ডিকেট তো আর সরকারের চেয়ে শক্তিশালী না। সরকার চেষ্টা করছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব্য কমাতে। খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সরকার ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, তাদের প্রধান নেতার মুক্তির ব্যাপারে দর্শনীয় একটি মিছিলও করতে পারেনি, এমন বিরোধী দল। তারা নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ, আন্দোলনে তো তারা ১০ ডিসেম্বরে দখলই করে ফেলছিল প্রায়, খালেদা জিয়ার হাতে ১১ তারিখ থেকে দেশ থাকবে, তারেক জিয়া বীরের বেশে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করবে এসব অনেক লাগাম ছাড়া কথা তারা অনেক বার বলেছেন। এটিই হলো বাস্তবতা বাংলাদেশে এমন একটি সরকার এখন ক্ষমতায় যে সরকার সত্যকে লুকোচ্ছে না। আমরা সত্যকে লুকিয়ে কোনো ফায়দা তুলতে চাচ্ছি না। আর বাংলাদেশে অভাবে, কষ্টে একটি মানুষও কি মরেছে?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category