• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন : নেভানোর চেষ্টা চলছে, তবে সময় লাগবে গাছ কাটা বন্ধে রিট আবেদন অননুমোদিত স্টিকারে ৩৬৩ মামলা, দুই হাজার গাড়ি ডাম্পিং: ট্রাফিক পুলিশ এবার মানবপাচার মামলায় রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মুসলিমদের একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ঋণ, গ্রেপ্তার ৮ বিচারকাজ পরিচালনায় আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চ

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে হবে শপিংমল-হোটেল-গেস্ট হাউজ

Reporter Name / ১৬৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের কাছে শপিংমলসহ হোটেল-গেস্ট হাউজ নির্মাণ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এসব স্থাপনা নির্মাণে রেলওয়ে ও বেসরকারি অংশীদার এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ফোকাল পারসন মো. আহসান জাবির ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) এবং এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক আনোয়ার হোসেন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন রোড সংলগ্ন জায়গায় ডিজাইন বিল্ড ফাইন্যান্স অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে প্রায় ১৫ তলাবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণে এই চুক্তি সই হয়। এখানে হোটেল, শপিংমল, অফিস, সিনেপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, পারিবারিক বিনোদনকেন্দ্র ও অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এটির সম্ভাব্য ব্যয় ৪৫ কোটি টাকা। নির্মাণকালসহ ৪০ বছর পর স্থাপনাটি রেলওয়ের শতভাগ মালিকানায় পরিচালিত হবে। প্রকল্পের সব ব্যয় বেসরকারি অংশীদার বহন করবে।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, সরকারের বর্তমান নীতি অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রমের ৩০ শতাংশ পিপিপি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ইতোমধ্যে দুটির চুক্তি সই হলো। রেলওয়ের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে রেলমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী রেলখাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন। বর্তমানে রেলওয়ের উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিটার ও ব্রডগেজ লাইনকে একমুখী ব্যবস্থা করে সারাদেশকে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হবে। বর্তমানে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন পর্যায়ক্রমে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হবে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রয়োজন। যে দেশ যত উন্নত, তার রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা তত উন্নত। উন্নত দেশের স্টেশনগুলোর পাশে শপিংমল করা হয়। আমাদের দেশের রেলব্যবস্থাকেও একইভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেক জমি আছে স্টেশনের পাশে। শপিংমল করে সেখান থেকে অর্জিত আয় দিয়ে আমরা একসময় রেলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থা ও লাভজনক করতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category