• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার ডেনিম পণ্য রপ্তানির দিকে নজর রপ্তানিকারকরদের মহাসড়কে নসিমন-করিমন-ভটভটি চলাচল বন্ধে নোটিশ নকল স্যালাইন বিক্রির ব্যাপারে তথ্য দিন: হারুন মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ক্লাউড সেবা চালু, সাশ্রয় হবে বিদেশি মুদ্রা মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: সিইসি ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর যেন কেউ মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী

চুপ করে বসে নেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় জঙ্গিরা

Reporter Name / ১৪৮ Time View
Update : সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চুপ করে বসে নেই জঙ্গিরা, জঙ্গিবাদ শেষ হয়ে গেছে এমনটি ভেবে চিত্ত হবারও কিছু নেই। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভয়াবহ রকম সক্রিয়’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন। অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার অনলাইন পেট্রোলিংয়ে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা জানান তিনি। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের মাল্টিপারপাস হলে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অভিযান ও অনলাইন পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যও ভয়াবহ। আসলে জঙ্গিরা বসে নেই, আপাতত শান্তিতে আছি বলে জঙ্গিরা শেষ হয়ে গেছে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। এটিইউ প্রধান বলেন, অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম, কীভাবে একজন তরুণ জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে, তার বিপদ, ভয়াবহতা না বুঝেই, জনসাধারণকে এসব ব্যাপারে সচেতন করার সুযোগ গণমাধ্যম কর্মীদের আছে। তিনি বলেন, পুলিশ সাংবাদিক রিলেশন্সটা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ কী চায়? পুলিশের পক্ষ থেকে দেখলে বলা যায়, গণমাধ্যম ছাড়া পুলিশের কাজের সুযোগ নেই। পুলিশ চায় পজিটিভ কাজগুলো গণমাধ্যমে উঠে আসুক। অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেন, পুলিশের নতুন আইডিয়া, ধারণা নিয়ে আমরা কর্মশালা করি। যাতে করে পুলিশের ইমেজ জনগণের সামনে সহায়ক হয়। আমরা জনসাধারণের নিরাপত্তা, সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করি। এই জায়গায় গণমাধ্যম ও পুলিশের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নাই। অপরাধ কমুক, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক সেটা সবার কাম্য। তিনি বলেন, পুলিশ সাংবাদিক সম্পর্ক আসলে নানা সময় জটিল ধারণ করে। তবে বর্তমানে তথ্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৭ ধারায় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার স্বার্থে তথ্য দিয়ে থাকি। দেশ প্রেমের জায়গা থেকে আমরা যদি সবাই কাজ করি তাহলে সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিছু ঘটবে না। গণমাধ্যম যদি এসব মাথায় রাখে সংবাদ পরিবেশনের সময় তবে সমস্যা হবার কথা না। সংবাদের অবাধ প্রবাহের সময়ে কোনো সংগঠনের সুযোগ নেই গণমাধ্যমকে সহায়তা ছাড়া ইমেজ রক্ষা করার। তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে দুটি ঘটে, একটা আমরা দিই, আরেকটা আপনারা সরেজমিনে করেন। এরকম একটি কাজ ছিল হলি আর্টিসানে হামলার সময়। গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের কারণে থেকে জঙ্গিরা ভেতর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান জেনে গিয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মনিরুজ্জামান বলেন, জঙ্গিবাদ আমাদের দেশের অনেক বড় বাধা। সরকার বিধি-বিধান সংবিধানের আলোকে জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করছে। সহায়ক পরিবেশ তৈরি সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আলোকে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে। জনগণ আমাদের পাশে আছে, পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে তবে আমাদের যেতে অনেক দূর। এই ক্ষেত্রে আমাদের জন্য অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে গণমাধ্যম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক বেশি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। যেটা আড়ালে থাকার সেটা আড়ালেই রেখেছেন। আসলে রাষ্ট্রযন্ত্রের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব নয়। এখানে দরকার কোর্ডিনেশন, জনগণের অংশগ্রহণ, গণমাধ্যমের নিরবিচ্ছিন্ন সহায়ক ভূমিকা। তিনি বলেন, আমাদের ডেটা সিস্টেমটা অনেক বেশি আপডেট থাকা দরকার। কারণ উগ্রবাদে যারা জড়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনেক বেশি কঠিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category