• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন

জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টারের শুভ উদ্বোধন

Reporter Name / ৩২২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১

মেহেরপুর প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়মীলীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল বিরতিহীন রাষ্ট্র পরিচালনায় অনেক ক্ষেত্রে বদলে গেছে বাংলাদেশে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনার জীবন বাজি রাখা নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন এক অনন্য মর্যাদায় আজ বাংলাদেশ ।
যে কয়টি মেগা প্রকল্প বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল বিপ্লব। আন্তর্জাতিক কম্পিউটার বিজ্ঞানী বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য গ্রান্ডসন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিকল্পনায় আর নির্দেশনার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ গুরুত্বে নতুন এক বিজ্ঞানের সংস্পর্শে বাংলাদেশে চলছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। রাজধানী থেকে গ্রামপর্যায় ডিজিটাল বিপ্লব । সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ। সে লক্ষ্য পূরণর করতে ৬৪ জেলায় ৬৪ শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউট নির্মাণ চলবে। প্রথম পর্বে সারাবাংলাদেশে ১১ টিকাজশুরুহতেচলেছেএরমধ্যে ঐতিহাসিকমুজিবনগর মেহেরপুর জেলার পৌর এলাকার সাত নং ওয়ার্ড মেহেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সংলগ্ন শেখ কামাল আইটি ও ইনকিবেশন সেন্টার সোমবার ব্যাপক জাঁকজমক পূর্ণ আয়োজনের মধ্যে ভিত্তি স্থাপন করেন বাংলাদেশের তরুণপ্রজন্মের দুই আইডল রাজনীতি বিদ ও প্রতিমন্ত্রী। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক হোসেন ও তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক যৌথভাবে শুভ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কাজটি সার্বিক বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন চারটি মূলনীতির উপর ডিজিটাল বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সেই চারটি নীতির প্রথমত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদে তৈরি করা, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণের কাছে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া, তৃতীয়তঃ সরকারের সকল সেবাকে ডিজিটাল মাধ্যমে সুলভ মূল্যে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়া এবং চতুর্থ হলো একটি আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পগড়ে তোলা সেই কল্যাণে মানুষ ঘরে বসে সারা দুনিয়া দেখছে এবং উপভোগ করবে। আমরা বিশ্বাস করি চাকরি এখন সোনার হরিণ কিন্তু সেইদিন বেশী দূরে নেই এমন এক ডিজিটাল বিপ্লব প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ সেদিন চাকরি থাকবে হাতের মুঠোয়। ২০২০/২১ আমরা জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করছি দ্বিতীয়তঃ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি পালন করছি এবং তৃতীয়তঃ প্রধানমন্ত্রী একটি প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনৈতিক বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলেন আমরা তা বাস্তবায়ন করছি। প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ পলক বলেন ২০০৮ সালে যখন বাংলাদেশের ৪০% ঘরে বিদ্যুৎ ছিলনা তখন বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলমাত্র ৫৬ লাখ আর এখন ১৮ কোটি, যখন বাংলাদেশের সরকার প্লাটফর্ম তো দূরের কথা কর্মকর্তাদের ই-মেইল করার সুযোগ ছিলনা বাংলাদেশের গ্রাম গুলো অন্ধকার ছিল বাংলাদেশ আধুনিক প্রযুক্তির কোন ছোঁয়া ছিলনা শুধু শিল্প বলতে আমাদের কোনো অস্তিত্ব ছিলনা সেই ১২ বছর আগে দারিদ্র বাংলাদেশ একটি প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন তরুণ প্রজন্মের অহংকার আন্তর্জাতিক কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি আরো বলেন মহামারী করোনার কারণে যখন শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার পথে তখন এই ডিজিটাল বিপ্লব মাধ্যমে শিক্ষার্থীর লেখা পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার আজ থেকে ১২ বছর আগে তখন শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ই-মেইলেরক থাভাবতেই পারেনি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর মেধা প্রতিভার সমন্বয় ঘটিয়ে আইসিটির মাধ্যমে ই-মেইল সকল ধরনের তথ্য আদান-প্রদানে করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতি মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে লড়তে হবে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে আজ শেখ কামাল আইটি ও ইনকিবেশন সেন্টারের উদ্বোধন করা হলো সেখানে দেশ-বিদেশের আইসিটি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় এলাকার বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠবে এমনকি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে । আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের । প্রথম ফেজে আমাদের সুযোগ দেওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর কাছে মেহের পুরবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, এলজিপি, পিএসসি বাংলাদেশ ডিজেল প্লট ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার কাজী অনিরুদ্ধ, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ডঃ মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম সকল কর্মকর্তা এবং মেহেরপুরের জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সকাল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category