• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

ডায়রিয়ায় এখনো প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে

Reporter Name / ১২২ Time View
Update : বুধবার, ১১ মে, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। মার্চের শুরু থেকেই দেশজুড়ে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ার দৌরাত্ম্য শুরু হয়। ওই মাসজুড়ে প্রতিদিনই রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে হাজারের ওপরে রোগী ভর্তি হয়েছে। এপ্রিলেও ওই ধারা অব্যাহত থাকে। ওই মাসে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে একদিনে ১৪শ’র বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে এপ্রিলের শেষে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা হাজারের নিচে আসে। তবে এখনো দৈনিক ৫ থেকে ৬শ’ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি। স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এখন হাসপাতালে যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হচ্ছে, ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে মানুষের ফেরার পর তা আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন আইসিডিডিআরবির চিকিৎসকরা। ১ মে থেকে ঈদের ছুটিসহ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৪১১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। তার মধ্যে ঈদের পরদিন রোগী ভর্তি হয় ৬৪১ জন। তার আগে গত ১ মে ৬৩১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। আর ২ মে ৫৫৯ জন, ৩ মে ৪২৯ জন, ৪ মে ৬৪১ জন এবং বৃহস্পতিবারে ৫৪৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
সূত্র জানায়, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সমস্যা আছে। দূষিত পানির কারণে শুধু কলেরা নয়, আরো বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। তার মধ্যে টাইফয়েড রোগটাও বেশি দেখা যাচ্ছে। দূষিত পানির কারণে মানুষের মধ্যে হেপাটাইটিস-বি বা সি দেখা দেয় কিনা তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। সেজন্য শুধু আক্রান্ত এলাকা নয়, সবারই উচিত পানি ফুটিয়ে খাওয়া। আর ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে যেসব এলাকায় লাইনের কারণে পানির সমস্যা হচ্ছে দ্রুত তা সমাধান করতে জরুরি। পাশাপাশি হাত ধোয়ার ক্ষেত্রেও যতœবান হতে হবে। করোনার সময় যেভাবে বেশি বেশি হাত ধুয়া হয়েছে এখন অনেকেই তা প্রায় ভুলেই গেছে। সেদিকে সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।
এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আইসিডিডিআরবির হাসপাতাল শাখার প্রধান ডাঃ বাহারুল আলম জানান, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বর্তমান আক্রান্ত সংখ্যাটি একেবারে কম নয়। তবে শুরুতে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল সেই তুলনায় এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তবে রোগী কমলেও সংখ্যাটি কিন্তু এষরন্ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। রোগীর সংখ্যা যদি ৫শ’র নিচে আসে তাহলে বলা যাবে কমেছে। সব বয়সী রোগীই হাসপাতালে আসছে। তীব্র পানিশূন্যতা নিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের মতো রোগী আসছে। তবে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তারা চিকিৎসার মাধ্যমে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছে। তারপর তাদের অনেকেই ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় চলে যায় এবং সেখানে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category