• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে এনবিআর নারী স্পিকারদের সামিট অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম: স্পিকার জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে খাদ্যে ফরমালিন মেশানো বন্ধ হচ্ছে না উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হচ্ছে নবনির্মিত স্টেডিয়াম ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৬৭ জনের মৃত্যু সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২,৭৭,৯৭৩ অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ডিমের ডজন ১৭০, সাধারণের নাগালের বাইরে ইলিশ

Reporter Name / ৮৮ Time View
Update : শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডিমের দাম লাগামছাড়া। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ডজনের কমে ডিম কিনলে প্রতিটির দাম ১৫ টাকা। অপেক্ষাকৃত কম আয়ের লোকেদের জন্য এ যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মৌসুম চললেও এক কেজি ইলিশের দাম বাজারভেদে এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা। চাল, ডাল, সবজি, মাছ ও মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর ২, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেকশন, ফার্মগেট কলমিলতা বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মিরপুর-১৪ এর কলোনি বাজারে আসা রুবেল নামে এক ব্যক্তি বলেন, একটি ডিম কিনতে ১৫ টাকা লাগবে! এটি কোথাকার হিসাব? এই দেশে দেখার কেউ আছে? জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে, আর আমাদের চোখ বন্ধ করে টাকা দিতে হবে। যেন মগের মুল্লুক! এদিকে ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও দাম চড়া। ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ইলিশের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। আধা কেজি থেকে এক কেজির ইলিশ ৯০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। মিরপুর-১৩ এর বাজারে এসে দুশ্চিন্তায় আসগর আলী। তিনি ইলিশ কিনবেন বলে বাসা থেকে বের হলেও বড় ইলিশ হাতে ধরতে সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, এটি কীভাবে সম্ভব? ভরা মৌসুমেও ইলিশের এত দাম! দাম কেন বেড়েছে, এর ব্যাখ্যাও কারো কাছে নেই। বিক্রেতাদের কথা, নিলে নিন, না নিলে যান। তাদের বক্তব্য, তারা কম দামে কিনতে না পারলে কম দামে দেবেন কীভাবে। আগের বাড়তি দামেই গরুর মাংসের কেজি বাজারভেদে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির কেজি বাজারভেদে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি প্রতি কেজি মুরগি বাজারভেদে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে সব ধরনের মাছ আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষের আমিষের জোগানদাতা সিলভার কার্পের কেজি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। দেড় থেকে দুই কেজি বা তার বেশি ওজনের সিলভার কার্পের কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়ার কেজি ২০০ টাকা, কই মাছ ২০০ থেকে ২৬০ টাকা পর্যন্ত। চাষের পাঙাশ মাছের কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। রুই ও কাতলার কেজি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, বাইম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা, বড় বোয়াল ৮০০ টাকা, ছোট ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের আইড় ৭৫০ টাকা। চাষের শিং মাছ ৫৫০ টাকা। পাবদার কেজি ৬০০ টাকা। মলা মাছের কেজি ৫০০ টাকা। রাজধানীর চালের বাজারে নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। আগে দাম বেড়ে যাওয়া প্রতি কেজি চিকন চাল বাজার ও ধরনভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৬৫ টাকা, পাইজাম ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, স্বর্ণা ও আটাশ চালের কেজি ৫৫ টাকা। মসুর মোটা ডালের কেজি ১০০ টাকা, চিকন ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা। ছোলার ডাল ৯০ টাকা কেজি। আলুর কেজি ৪০ টাকা, আদা ২৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আমদানি করা পেয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম বেড়েছে। সব রসুনের কেজি এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ভোজ্য তেলের দাম নতুন করে বাড়েনি। প্রতি লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বোতলজাত পামওয়েলের লিটার ১৫০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা। খোলা দুয়েক জায়গায় ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, ভেন্ডি ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা, শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ২৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। রাজধানীর বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানোর রাখার নির্দেশনা থাকলেও এসবের মধ্যে দুয়েকটি বাদে কোথাও তালিকা দেখা যায়নি। মিরপুর-২ এর একটি বাজারে এক মুরগির দোকানে মূল্য তালিকা থাকলেও তাতে হালনাগাদ দাম লেখা ছিল না। ফার্মগেটের কলমিলতা বাজারের একটি দোকানে মূল্য তালিকা দেখা গেলেও মার্কেটের অন্য কোনো দোকানে মূল্য তালিকা ছিল না। মূল্য তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে এক দোকানি বলেন, তালিকা কী অয়? এইডা কী বিক্রি অয়? দোকানির সঙ্গে কথা বলতে শুনে বাজার করতে আসা এক নারী বলেন, মূল্য তালিকা থাকে না, দেখার কেউ নেই। কথা বলতে গেলে দোকানিরা মাস্তানের মতো আচরণ করেন। মিরপুর ১০ এর একটি বাজারে খাসির মাংসের একটি দোকানে মূল্য তালিকা থাকলেও পাশের কোনো মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা নেই। তালিকা নেই কেন, জানতে চাইলে দোকানি জানান, মূল্য তালিকা দিয়া এখন কি অইব, ওইডা তো রোজার মাসের লাইগ্যা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category