• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পদের অনুসন্ধানে রিট, হাইকোর্টের তালিকা থেকে বাদ গত বর্ষায় ৯০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে: মেয়র আতিক ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে স্বর্ণ পাচারচক্রের মুল হোতারা বর্তমান সরকার প্রত্যেক ধর্মের কল্যাণে কাজ করছে: বীর বাহাদুর এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: নানক চূড়ান্ত মৃত্যুদ-াদেশের আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না ফরিদপুরে গাড়ি চালকের ডোপটেস্টসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত দুর্নীতির সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয়নি: নৌ-প্রতিমন্ত্রী এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত ছিল না: নানক

তানজানিয়ার নাগরিকদের দু’বার সাজা, একটি বাতিলে হাইকোর্টের রুল

Reporter Name / ৪২০ Time View
Update : সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
তানজানিয়ার নাগরিকদের নিকট থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের একই ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি আলাদা যাবজ্জীবন সাজার একটি দ- কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তানজানিয়ার দুই নাগরিকের করা রিটের শুনানি নিয়ে গত রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ১৯৯৫ সালে বেনাপোল বন্দরে সাড়ে তিন কেজি ওজনের হেরোইন নিয়ে তানজানিয়ার চার নাগরিক গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনায় যশোরের শার্শা থানায় একটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ দুটি পৃথক চার্জশিট দেয়। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, অপরটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। এরপর ১৯৯৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই মামলায় পৃথকভাবে ঘোষণা করা রায়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আদালত। এরপর ওই দ-ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন করেন। এরপর ২০০২ সালের ৭ আগস্ট একটি মামলার রায় এবং ২০০৪ সালের ২২ জুন ওই আসামিদের আপিল আবেদনও খারিজ করে রায় দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতের রায় বহাল থাকে। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদন করেন তারা। ওই আপিল তামাদি হওয়ার কারণে শুনানি নিয়ে তা ২০১৮ সালের ৩০ জুন খারিজ করে রায় দেন। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদ- বহালই থাকে। জানা গেছে, তারা গত ২৬ বছর ধরে কারাগারে আছেন। চার আসামির মধ্যে কারাগারে একজন মারা গেছেন এবং তার লাশ তানজানিয়ায় পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর দুই আসামি পৃথক পৃথক সাজার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, একই ঘটনায় পৃথক পৃথক দুইবার সাজার রায় ঘোষণা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৩ ধারা সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category