• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
রোয়াংছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাসে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার ১৫ দিনব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন গেটলক সিস্টেম না মানলেই মামলা: ডিএমপি কমিশনার শ্রম আইন সংশোধনে কিছু সিদ্ধান্ত হবে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে: আইনমন্ত্রী বিদেশ নির্ভরতা কমাতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা জরুরি: ইউজিসি উদ্বোধন হলো রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম, ৭ জুন ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ ভারতের নির্বাচনের পরই দীর্ঘমেয়াদি ভিসার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নানক মোহাম্মদপুরে কবে ঠিক হবে রাস্তাগুলো? মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের কনডেম সেল নিয়ে রায়: আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ জিপিএ’র ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি অনলাইনে আবেদন শুরু ২৬ মে

দেশে ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, দ্রুত ছড়ায় সংক্রমণ

Reporter Name / ১২৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে দুই বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে। এটি আগের ধরনগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যশোরে করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তির ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে পরীক্ষা করে করোনার নতুন উপ-ধরনটি শনাক্ত করে জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গবেষকরা। একই দিন যবিপ্রবির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আবদুর রশিদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। যবিপ্রবির গবেষক দল জানায়, আক্রান্ত দুই ব্যক্তিই পুরুষ। এদের একজনের বয়স ৪৪ এবং আরেকজনের ৭৯ বছর। আক্রান্ত ব্যক্তির একজন করোনার বুস্টার ডোজ এবং অপরজন দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং আরেকজন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের শরীরে জ¦র, গলাব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে। তারা উভয়ে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বলে গবেষকরা ধারণা করছেন। গবেষক দল আরও জানায়, নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট (ইঅ.৪/৫) স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের মতোই মিউটেশন দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো স্পাইক প্রোটিনের ৪৫২ নম্বর অ্যামাইনো অ্যাসিডে মিউটেশন থাকে। এছাড়া এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ৪৮৬ নম্বর অ্যামাইনো অ্যাসিডেও মিউটেশন দেখা যায়। ওমিক্রনের এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছে। গত মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ ভারতে শনাক্ত হয়। এই উপ-ধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউ এবং সাম্প্রতিককালে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরাও এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। আগামী দিনে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। করোনার এই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ??এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এজন্য মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও বিকল্প নেই। তিনি বলেন, অচিরেই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে এবং এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণের কাজ জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে। ইতোপূর্বে যশোরের জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয় সংক্রমণও শনাক্ত করা হয়। যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়। গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, শোভন লাল সরকার, এ এস এম রুবাইয়াতুল আলম, মো. সাজিদ হাসান, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস ও রাসেল পারভেজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category