• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার ‘মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স’ আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করা হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী নৌকা-জাল মেরামতে ব্যস্ত, নদীতে নামার অপেক্ষায় জেলেরা বান্দরবানে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে সাংবাদিকবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কৃত্রিম বৃষ্টিতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক বিএনপির ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই: কাদের

দেশে পরিবেশ তৈরি করেছি যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারেন: পরিকল্পনামন্ত্রী

Reporter Name / ৩৪৮ Time View
Update : রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আমরা বিনিয়োগের পরিমাণ ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছি। এখন যে কেউ বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে আসতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ রোববার ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরাটন হোটেলে স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী বলেন, আমরা বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাবো। কারণ আমাদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন যেমন পূরণ করেছি তেমনি বাংলাদেশের সক্ষমতাও প্রমাণিত হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আগামীতে বদলে যাবে বাংলাদেশের চিত্র। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছি আমরা। এখন শুধু কাজ করে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই। বাণিজ্য সংগঠনগুলো এজন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। টেকসই অর্থনীতির জন্য আমাদের নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর মধ্যে অ্যাগ্রো প্রসেসিং শিল্প এবং গ্রামীণ অর্থায়নের দিকে যেতে হবে। আগামীতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারনা বদলে দিয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি প্রসার লাভ করছে। সেই সঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণি বাড়ছে। এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মধ্য আয়ের ফাঁদ থেকে মুক্ত হতে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, পোশাক খাত এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে জাপান, চীন, ভারতে প্রচুর রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। এটিকে কাজে লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার সে প্রচেষ্টা অব্যাহত। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিজনেস পরিবেশ উন্নয়নে কাজ চলছে। বিশ্বব্যাংক ডুয়িং বিজনেস প্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধ করলেও বাংলাদেশ নিজের উদ্যোগে পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচেছ। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির বলেন, বেসরকারি খাত শিল্প বহুমুখীকরণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। নীতিমালা অনুকূলে থাকায় এটা করা সম্ভব হয়েছে। এফআইসিসিআইএর প্রেসিডেন্ট রুপালী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন- এইচএসবিসির বাংলাদেশের সিইও মাহবুবউর রহমান, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, নেদারল্যান্ডসের সহকারী মিশন প্রধান পাউলা রোজ স্কিনডিলার, কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি জ্যাংক কেনু প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category