• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ

নতুন জঙ্গি সংগঠনের দাওয়াতি শাখায় কাজ করছে নারীরাও

Reporter Name / ৯৬ Time View
Update : শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’র অর্থ বিষয়ক সমন্বয়ক ও হিজরত বিষয়ক সমন্বয়কসহ ৪ জনকে কুমিল্লার লাকসাম এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সংগঠনটির মহিলা শাখার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। সংগঠনে চাঁদা প্রদানসহ দাওয়াতি কার্যক্রমে জড়িত ছিল তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১১ এর অভিযানে কুমিল্লার লাকসাম এলাকা হতে নতুন জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য মো. আবদুল কাদের ওরফে সুজন ওরফে ফয়েজ ওরফে সোহেল (২৪), মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে হানজালা ওরফে মানসুর (২২), মুনতাছির আহম্মেদ ওরফে বাচ্চু (২৩), হেলাল আহমেদ জাকারিয়া (৩৩)-কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় উগ্রবাদী পুস্তিকা, প্রশিক্ষণ সিলেবাস, লিফলেট, ডায়েরি। আজ শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র?্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র দাওয়াতি, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, হিজরতকৃত সদস্যদের তত্ত্বাবধানসহ অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িত ছিল বলে জানায়। তারা ২-৪ বছর আগে নিকটাত্মীয়, বন্ধু, স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের মাধ্যমে তাত্ত্বিক, শারীরিক সশস্ত্র প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেয়। গ্রেপ্তার বাচ্চু সংগঠনটির অর্থ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক, গ্রেপ্তার সোহেল ও হানজালা সমগ্র দেশে হিজরতকৃত সদস্যদের সার্বিক সমন্বয়ক এবং গ্রেপ্তার জাকারিয়া সামরিক শাখার তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি। দেশব্যাপী ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র কার্যক্রমে জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে তারা সংগঠনের নেতৃস্থানীয়দের পরামর্শে কুমিল্লার লাকসাম এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তারা বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের সদস্য ও সহানুভূতিশীল/সমমনা/সমব্যথীদের নিকট থেকে অর্থ সংগ্রহ করতো। সাংগঠনিক প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করতো। এছাড়াও, তারা পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত সদস্যদের পরিবারের নিকট প্রয়োজন অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করতো। বিভিন্ন সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণরত সদস্যদের অর্থ প্রেরণ ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করতো। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সংগঠনটির আমিরসহ অন্যান্য শূরা সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সংগঠনের আমির মাহমুদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতো। প্রায় দুই বছর আগে সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। সে ১ বছর আগে কুমিল্লার প্রতাপপুরে অবস্থিত তার সেমিপাকা বাড়িসহ জমি স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়িতে সাড়ে তিন বিঘা জমি ক্রয় করে এবং পরিবার নিয়ে সেখানে স্থানান্তরিত হয়। সে সেখানে চাষাবাদ, পোল্ট্রি ফার্ম ও গবাদি পশুর খামার পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। এছাড়াও, তারা সংগঠনটির মহিলা শাখার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। আমরা বেশকিছু মহিলা সদস্যের বিষয়ে জানতে পেরেছি যারা সংগঠনের চাঁদা প্রদানসহ দাওয়াতি কার্যক্রমে জড়িত ছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category