নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে মসজিদ-মন্দিরের সামনে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এনামুল হক কাউছার (১৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এনামুল সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোয়াগ গ্রামের ব্যবসায়ী একরামুল হক সবুজের ছেলে। ১৬ অক্টোবর ফেনী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ ও জয়কালী মন্দিরের সামনে হিন্দু-মুসলিম, ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্য দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওইদিন বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলমান সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ চার শতাধিক ফাঁকা গুলি ছোড়ে এ সময় বিক্ষুদ্ধরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। নিহতের চাচা আতাউল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন দোকানের মালামাল কিনতে কাউছার ফেনী এসেছিল। এরপর বড় মসজিদের সামনে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাথা ও মুখে আঘাত পায় কাউছার। পরে ফেনী শহরের বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে গত শুক্রবার ভোরে ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, রাধানীর বেসরকারি ওই হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার রাতেই তার বাসায় আনা হয়। এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, আমারা ঘটনাটি শুনেছি, প্রকৃত কারণ জানার জন্য নিহত যুবকের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ভিসেরাসহ সব ধরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে কিভাবে ওই যুবকের মৃত্য হয়েছে। স্থানীয় মতিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু বলেন, যুবকের মৃত্যুর কথা শুনেছি। বাদ জোহর এলাকায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।