ক্যারিবীয় মারকুটে অলরাউন্ডার রাসেলের ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ে সহজেই ১৫ বল হাতে রেখে বরিশালের করা ১২৯ রান টপকে গেছে মিনিস্টার ঢাকা। রাসেলের অলরাউন্ড নৈপূন্যে সাকিবের বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দুই হারের প্রথম জয় পেলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
দেশের ক্রিকেটের এ দুই অভিজ্ঞ তারকার জুটিতে আসে ১০.২ ওভারে ৬৯ রান। দুজনের মধ্যে শুভাগতই ছিলেন বেশি সাবলীল। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ডোয়াইন ব্রাভোর সেøায়ারে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ২৯ রান করেন শুভাগত। তখন জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল ঢাকা।
বাকি কাজ সারতে কোনো সমস্যাই হয়নি সাত নম্বরে নামা আন্দ্রে রাসেলের। একপ্রান্ত ধরে রেখে মাহমুদউল্লাহও খেলেন অধিনায়কোচিত ইনিংস। শেষ ৬ ওভারে যখন প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান, তখন আলঝারি জোসেফের বোলিংয়ে তিন চার ও এক ছয়ের মারে ১৯ রান নিয়ে নেন রাসেল ও রিয়াদ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে ফরচুন বরিশাল। নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৈকত আলির উদ্বোধনী জুটিতে ২১ রান উঠেছে ঠিকই, কিন্তু এতে শান্তর তেমন কোনো অবদান ছিল না। যার অবদান ছিল সেই সৈকতও বার দুয়েক জীবন পেয়েছেন। তবে এমন ভাগ্য বেশিক্ষণ সহায় ছিল না বরিশালের। ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।
সাকিব খেলছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। অবশেষে ১২তম ওভারে এসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান রুবেল হোসেন। ১৯ বলে ২ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় সাকিব করেন ২৩।
এরপর চাপ বাড়িয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। মাহমুদউল্লাহকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার (১)।
ষষ্ঠ উইকেটে আরেকটি জুটি গড়েন গেইল। এবার স্বদেশি ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে ১৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন তিনি। ১৬তম ওভারে গেইলকে থামান ইসুরু উদানা।
বলের গতি বুঝতে না পেরে সøগ করে শর্ট থার্ড ম্যানে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব। ৩০ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ওই ওভারেই জিয়াউর রহমানকে (১) তুলে নেন উদানা।
একশর আগে (৯৬ রানে) ৭ উইকেট হারায় ফরচুন বরিশাল। সেখান থেকে দলকে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত নিয়ে যান ডোয়াইন ব্রাভো। ২৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার।