• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করা হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী নৌকা-জাল মেরামতে ব্যস্ত, নদীতে নামার অপেক্ষায় জেলেরা বান্দরবানে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে সাংবাদিকবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কৃত্রিম বৃষ্টিতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক বিএনপির ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই: কাদের পুঁজিবাজারে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩ বিদেশি ঋণের বেশিরভাগই সুদাসল পরিশোধে ব্যয় হচ্ছে

বান্দরবান সিভিল সার্জন ম্যালেরিয়া রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে

মোঃ জুয়েল হোসাইন, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : / ৩৫ Time View
Update : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

পার্বত্যাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় পাহাড়ের কিংবা বন জঙ্গলে যারা বসবাস করে তারাই মশা কামড়ে ফলে বেশীর ভাগই ফ্যালসিপ্যারাম ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়।

ম্যালেরিয়া জীবাণুহীন মশা কামড় দেওয়া সাত থেকে ষোল দিন পর ম্যালেরিয়া উৎসর্গ দেখা দেয় । যার কারণে সময় মতো চিকিৎসা না নিলে ম্যালেরিয়া প্রাণঘাতীতে মৃত্যু হয়।

তাই ম্যালেরিয়া রোগটিকে নির্মূল করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’ নামে ম্যালেরিয়া টিকা উৎপাদন করেছে ভারতের সিয়াম ইনস্টিটিউট। এতে করে ২০৩০ সালে বান্দরবানে ম্যালেরিয়া নির্মূল করতে সহায়ক হবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা দুইটায় বান্দরবানে সিভিল সার্জন কনফারেন্স সভা কক্ষে ম্যালেরিয়া নির্মূলে স্বাস্থ্য অবিহিতকরণ বিষয়ক সাংবাদিক সম্মেলনের প্রধান অতিথি থেকে এসব কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রধান গবেষকের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল ফয়েজ।

অনুষ্ঠান আয়োজন করেন ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশনের ও সহযোগিতা ছিলেন বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ। সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল ফয়েজ বলেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলের কর্মসূচি হিসেবে বান্দরবানের লামা ও আলীকদম এই দুই উপজেলায় একটি গবেষণামূলক পরিচালনা করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই উপজেলাগুলোতে ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য সংস্থা থাইল্যান্ডের মাহিদল ম্যালেরিয়া নির্মূলের টিকা ও ঔষধের কার্যকারিতা নির্ণয় করা হবে। তাছাড়া টিকা ও ঔষধের কার্যকারিতা নির্ণয়ের জন্য ম্যালেরিয়া সংক্রামক ১০০টি পাড়া কিংবা গ্রাম চিহ্নিত করা হয়েছে।

সেসব গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে ম্যালেরিয়া টিকা ও ঔষধ প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে প্রতিজনের মাঝে টিকা যারা গ্রহণ করবে তাদের সেবা চলমান থাকবে এবং ঔষধ সেবা ক্ষেত্রে একইভাবে চলমান প্রক্রিয়া থাকবে।

এতে করে আগামীতে ম্যালেরিয়া ঝুঁকি কমে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা পরিবার পরিকল্পনার সহকারী উপ-পরিচালক ডা অং চালু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এম এম নয়ন সালাউদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category