নিজস্ব প্রতিবেদক :
আদালতের নির্দেশনায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধই থাকছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত দাপ্তরিকভাবে, সুনির্দিষ্টভাবে অবগত নেই। সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। আমরা আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই মুহূর্তে মন্তব্য করবো না। তবে নীরবতাটা সম্মতির লক্ষণ (আদালতের আদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ)। এদিকে তাপপ্রবাহের ছুটি এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে শিখন ঘাটতি পূরণে আগামী ৪ মে থেকে শনিবারও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আছে। এ শনিবারের ছুটি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ইতিবাচক কথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ২৫ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। আগামী ৪ মে থেকে শনিবার কি স্কুল খোলা থাকবে- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কারিকুলামের দিনগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনবোধে আমাদের তো শনিবার খোলা রাখতে হয় ও হয়েছে এবং আমরা সেটা করছি। তবে আমাদের দিবসগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে খোলা রাখার প্রয়োজন হবে না। তাপদাহের কারণে বন্ধ থাকায় একাডেমিক ক্যালেন্ডার রিসিডিউল করবেন এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অবশ্যই করতে হবে। আমাদের কার্যদিবস আছে মোট ১৮৫ দিনের। সেখানে মূল্যায়নের জন্য ২০ দিন, জাতীয় দিবসগুলোর জন্য পাঁচ দিন। অতিরিক্ত যে দিনগুলো আছে সেখানে কিছুটা রি-অ্যাডজাস্টমেন্ট করে সেটা অবশ্যই গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটিৃ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার প্যাটার্নটা এ বছর অনেক জায়গায় পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের ক্যালেন্ডারে স্থির থাকাটা খুবই কঠিন। ক্যালেন্ডারটা অ্যাডজাস্টেড হবে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি কি বাতিল হবে এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অগ্রিম বলা যাবে না। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যত দিনের প্রয়োজন সেটা অর্জন করার জন্য যদি শুক্রবারও খোলা রাখতে হয়, আমাকে তো অ্যাডজাস্ট করতে হবে।