• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ১৩ Time View
Update : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশে দারিদ্র্য হারের পাশাপাশি শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলি নিশ্চিত করার জন্য আমরা সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। এর ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজের ব্যবস্থাপনা টিম আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদ সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিন কিট চুয়ান দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো.নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পাঞ্চলে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাতে এলাকার শ্রমিক ও মানুষ সহজে মেডিকেয়ার সুবিধা পেতে পারে। হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এবং আমার বোন শেখ রেহানা জনগণের স্বার্থে আমাদের সমস্ত সম্পত্তি ট্রাস্টকে দান করে দিয়েছি। আমাদের কেউ নেই এবং আমরা জনগণের কল্যাণে আমাদের সম্পত্তি দান করেছি। এক সময় বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র এবং স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল বলেও তিনি স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছি। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদ দ্বারা পরিচালিত হয়, যেটি মালয়েশিয়ার একটি বিখ্যাত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা। কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদ এর বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ২৯টি হাসপাতালের একটি চেইন রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে নামকরণ করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত ২৫০ শয্যার বিশ্বমানের এই হাসপাতালটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানুষের সেবা করে আসছে। এটি বাংলাদেশে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইএমএস) প্রত্যায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে পরিণত হয়েছে, যা রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা লাভের আস্থা সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্যুরো ভেরিটাস ২০১৭ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অবদানের জন্য এটিকে পুরস্কৃত করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category