• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার ডেনিম পণ্য রপ্তানির দিকে নজর রপ্তানিকারকরদের মহাসড়কে নসিমন-করিমন-ভটভটি চলাচল বন্ধে নোটিশ নকল স্যালাইন বিক্রির ব্যাপারে তথ্য দিন: হারুন মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ক্লাউড সেবা চালু, সাশ্রয় হবে বিদেশি মুদ্রা মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: সিইসি ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর যেন কেউ মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

Reporter Name / ১০ Time View
Update : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আবহমানকাল ধরে বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য। এই সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয়, এ জন্য সবার আচরণ হতে হবে দায়িত্বশীল। আজ শনিবার ময়মনসিংহের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ বিভাগের পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) অধীনে এ সম্মেলনে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাতটি জেলার পুরোহিত ও সেবাইতরা অংশগ্রহণ করেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সেখানে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে, প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য। এ অভিপ্রায় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে সব মানুষের কাছেই নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদের শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের দারস্থ হন, তাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলেন। পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন নিজেদের কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদের আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের সমাজে যে সব সামাজিক ব্যাধি রয়েছে তা প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। মো. ফরিদুল হক খান বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও সেবাইতদের আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, অন্যদিকে সামাজিক সমতার ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রমের বিকাশ ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হলে দেশ ও জনগণের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে। জাতীয়তা ও ভাতৃত্ববোধ দৃঢ় ও অটুট থাকবে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বেগবান হবে। ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হবে। এছাড়া, ভাতাপ্রাপ্ত পুরোহিত ও সেবাইতরা কীভাবে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সেই সাফল্যগাথাও সবাই জানতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে সবার মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হবে। আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাবো। বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, রেঞ্জ ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category