• বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার

জিয়ার বিচার দাবি ১৯৭৭ সালের ষড়যন্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গের

Reporter Name / ৩৯০ Time View
Update : রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জিয়াউর রহমানের শাসনআমলে সেনা ও বিমান বাহিনীর কারাদ-প্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত সদস্য ও নিহত সদস্যের পরিবারের সদস্যরা ছয়টি দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন। ‘১৯৭৭ সালে খুনি জিয়ার গুম ষড়যন্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গ’র ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। রোববার দুপুর দেড়টায় তারা শাহবাগে আসেন। শাহবাগ অবরোধ করে অল্প কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তারা। এর আগে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন। শেষে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবস্থান করেন। এ সময় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তারা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশে তারা ছয়টি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে-১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্য যারা জিয়াউর রহমানের সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদ- ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের নির্দোষ ঘোষণা করা। ওই সময় যারা ফাঁসি, কারাদ- ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে স্ব স্ব পদে সর্বোচ্চ র‌্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ সরকারি সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা। যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনা ও বিমানবাহীর সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাদের শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা এবং কবরস্থান চিহ্নিত করে কবরস্থানে নামসহ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা। বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনা ও বিমানবাহীর সদস্যদের পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে তাদের পোষ্যদের যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদান করা। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর যারা জিয়াউর রহমানের সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার সেনা ও বিমান বাহীর সদস্য যাদের অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদ- ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা। অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদ- ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা। এ বিষয়ে সংগঠনের সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন বলেন, জেনারেল জিয়া বিচারের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল। শুধু ১৯৭৭ সালের নভেম্বর মাসেই নয়, ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসির নামে হত্যা করেছে। এটি জাতির জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। তিনি বলেন, আমরা কমিশন গঠন করে জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানাই। আর যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের যেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়া দেওয়া হয়। সমাবেশে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জিয়াউর রহমানের শাসনলে সেনা ও বিমান বাহিনীর কারাদ-প্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত ও নিহত সদস্যের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category