নিজস্ব প্রতিবেদক :
অনুমতি ছাড়া জেমস ও মাইলসের আটটি গান ওয়েলকাম টিউন হিসেবে গান ব্যবহার করার অভিযোগে কপিরাইট আইনে করা পৃথক দুই মামলায় বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অ্যাসসহ চার কর্মকর্তাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। জামিন পাওয়া অপর বিবাদীরা হলেন- চিফ কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা এম নুরুল আলম, চিফ কর্পোরেট রেগুলেটরি কর্মকর্তা তৈমুর রহমান এবং ভিএএসের প্রধান অনিক ধর। সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আসামিরা স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ করেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাদীপক্ষ শুনানিতে আসামিদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেছে। তবে আসামিপক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। আগামী ৫ জানুয়ারি শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে জেমস-মাইলসের পৃথক দুই মামলায় চার আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ওইদিন শুনানি শেষে বিচারক ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। গতকাল সোমবার আসামিদের করা স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ১০ নভেম্বর একই আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন দেশের জনপ্রিয় দুই সংগীত তারকা জেমস ও মাইলস। আদালত অভিযোগ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বাংলালিংকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। ওইদিন জেমস সশরীরে আদালতে উপস্থিত হলেও মাইলসের পক্ষে দুজন উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে জেমস ও মাইলসের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ‘নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ মাইলস ব্যান্ডের এ দুটি গান কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর ধরে ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলালিংককে মৌখিকভাবে বলা হয়। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের বলা হয়। বারবার বলার পরও তারা গানগুলো সরায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় যাই। থানায় মামলা না নিলে আমরা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হই। এ আইনজীবী আরও বলেন, নগরবাউলের ছয়টি গান অনুমতি ছাড়া ১৪ বছর ধরে ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলালিংক। তাদের এ বিষয়ে বলার পরও গান সরানো হয়নি। আমরা গানগুলো সরাতে লিগ্যাল নোটিশও পাঠাই। তিন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও গান সরানোর জন্য বলা হয়। তাতেও গানগুলো সরিয়ে নেয়নি বাংলালিংক।