• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
দিনে ১০-১২ বার লোডশেডিং, গরমে অতিষ্ঠ নীলফামারীর মানুষ মালয়েশিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো গন্তব্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী গরমে লোডশেডিংয়ে ভুগছে গ্রামের মানুষ, ঢাকায় লোডশেডিংয়ে কম আগামী দিনে হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা, লাল গালিচা সংবর্ধনা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত: হাইকমিশনার কক্সবাজারে ‘রোহিঙ্গা ভোটারদের’ তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি ভিসা জটিলতায় এবারের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আশঙ্কা এজেন্সিগুলোর

নোয়াখালীর ঘটনার সময় আ. লীগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কাদেরের

Reporter Name / ৩৭০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দুদের ওপর হামলার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল কিনা, এমন প্রশ্ন রেখে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চৌমুহনীতে গত ১২ বছর এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। নোয়াখালীতে পূজাম-পে কোনও হামলা হয়নি। এবারের তা-বটা কেন হলো, কীভাবে হলো, আমি সেখানকার নেতাদের প্রশ্নটা রাখতে চাই। কুমিল্লায় যখন ঘটেছে এত পূজাম-পে, চৌমুহনীতে, আপনারা কেন সতর্ক হলেন না। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ভার্চুয়ালি হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা চৌমুহনীতে ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠান আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটি। কাদের বলেন, ভোট এলেই হিন্দুদের কাছে গিয়ে আমরা যারা মায়াকান্না করি, হিন্দু দরদ দেখাই, হিন্দুদের বিপদের সময় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি কেন? এ প্রশ্ন আপনাদের বিবেকের কাছে আমি রেখে গেলাম। সবকিছু প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে হয় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের এত বড় সংগঠন, এত কর্মী বাহিনী। কুমিল্লার ঘটনার পর দিন চৌমুহনীর ঘটনা ঘটেছে। যদি কঠোরভাবে সতর্কতা আপনারা অবলম্বন করতেন, আওয়ামী লীগ সতর্ক থাকলে এদের এত দুঃসাহস হতো? এ রকম তা-ব চৌমুহনীতে তারা করে গেলো। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সেখানে দুটি প্রাণহানি ঘটলো। আমাদের বিবেক কি আলোড়িত হচ্ছে না। আমি বলবো, আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা আছে। সেটা নিজেরা খুঁজে বের করুন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আপনাদের সতর্কতার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যেকোনও অবস্থায় দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, এত ম-প চৌমুহনীতে জ¦ালিয়ে-পুড়িয়ে দিলো, আপনারা কি নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন? একটা প্রতিরোধও তো হলো না। এটা নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে আমাকে দুঃখ দিয়েছে। আমি নিজে লজ্জা পেয়েছি। কী জবাব দেবো আজ হিন্দু সম্প্রদায়কে। বেগমগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের উদ্দেশে সরকারের মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের যে ক্ষতিগ্রস্ত পূজাম-প, মন্দির ও ঘরবাড়ি যেগুলো পুড়ে গেছে, সেগুলো সরকারিভাবে করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমি সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের আশ্বস্ত করছি। মন্দিরগুলোর কোনও কোনোটি পুনর্নির্মাণ, যেগুলো সংস্কার করার দরকার, সংস্কার এবং যারা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ক্ষতিপূরণের জন্য সবকিছু করা হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মুখে নয় অন্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা আপনাদের আপনজন। এ ঘটনায় সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে, এ কথা আপনাদের আশ্বস্ত করছি। চৌমুহনীর ঘটনার নেপথ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার আশ্বাস দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর কিছুকিছু প্রমাণ পাওয়া হবে। কারা এর পেছনে খুঁজে বের করবো এবং শাস্তি নিশ্চিত করবো। ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে, নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। দুটো কাজ তারা করতে চেয়েছে, এ অপকর্মের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে সমর্থন, এই সমর্থনের দুর্গে আঘাত হানতে চেয়েছে। আরেকটি হলো, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বিরাজমান সুসম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য তাদের সুগভীর চক্রান্ত বলে আমি মনে করি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন আসছে, তারা ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে। ১/১১ সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে। দেশকে অশান্ত করার জন্য এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নির্ভরযোগ্য অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের চক্রান্ত হয়। দলীয় প্রতীক নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত যখন থেকে নিয়েছি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছুকিছু সমস্যা আছে। ইদানীং কিছুকিছু সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় বিভেদ ও মারামারির মতো ঘটনাও ঘটে। কিন্তু আমরা নির্বাচনে প্রতীক দিয়ে আবার সামনের নির্বাচনগুলো ওপেন করবো এটা সত্য নয়। এমন কোনও চিন্তা আওয়ামী লীগ করেনি। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে না করার সিদ্ধান্ত দিলেও প্রতীক না দিয়ে ঘোমটা পরে বিএনপি নির্বাচন করছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপি বলে তারা নির্বাচন করবে না। আবার ইউনিয়ন পরিষদে মার্কা ছাড়া স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে। স্বতন্ত্রভাবে সারা দেশেই তারা প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছে। আমি বলতে চাইÑ ফখরুল সাহেব, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে মনোনয়ন বাণিজ্যের কোনও রেকর্ড নেই, কোনও তথ্য নেই, খুঁজে পাবেন না। আপনাদের কেন্দ্রীয় মনোনয়নেই বাণিজ্যের অভিযোগ, জাতীয় থেকে স্থানীয় নির্বাচন সর্বত্রই হচ্ছে। প্রতীক না দিয়ে ঘোমটা করে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category