মোঃ জুয়েল হোসাইন, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
বান্দরবানের পাহাড়ি পল্লীগুলোতে জেঁকে বসেছে হীম শীত। গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় প্রত্যন্ত পাহাড়ি পল্লীগুলো। আর সেটি অব্যাহত থাকে সকাল ৯ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। শীতের এ তীব্রতায় উপজেলার দুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষের জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে। আবার শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী এখানকার অধিকাংশ অধিবাসীরা প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে রয়েছেন কষ্টে। শীত নিবারণের জন্য দুর্গম পাহাড়ে বসবাসরতরা খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা। আবার কেউ কেউ গরম কাপড়ের দোকানে দিকে ভিড় জমাচ্ছেন।
এছাড়া বাগান এলাকায় কর্মরত শ্রমিকরাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে ছোট ছোট শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া ও কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে।
এদিকে কুয়াশার কারণে বিশেষ করে রাতের বেলা ও ভোর বেলায় বান্দরবানে- খাগড়াছড়ি- রাঙ্গামাটি সড়কে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। জীপ চালক ওসমান গনি শিমুল, সামছুল আলম সহ আরো অনেকে জানায়, সকাল ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কের কয়েকটি এলাকা কুয়াশায় ঢেকে থাকে। অনেক সময় গাড়ির সামনে হেড লাইট জ্বালিয়েও ১৫-১৬ ফুটের বেশি দেখা যায় না।
এখানকার খেটে খাওয়া মানুষগুলো জানান, প্রচণ্ড শীতের তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পাহাড় থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে জ্বালিয়ে আগুনে শরীর ছেঁকে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন তারা।
পাহাড়ি নারী মাসাছিং মার্মা, হ্লামাউ মারমা ও উমে মারমা বলেন, অন্যান্য বারের চেয়ে এ বছরে বেশি শীত পড়ছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে আমরা আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছি। আমাদের গরম কাপড় যা আছে, তা দিয়ে শীত ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। তীব্র শীতের কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ায় পরিবার-পরিজনের খাদ্য যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষদের।
সরেজমিন উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন বাজারঘুরে দেখা যায়, পুরানো কাপড় নিয়ে ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসেছে। খোলা আকাশের নিচে প্রায় অর্ধ-শতাধিক শীতবস্ত্রের দোকান আছে। এসব দোকানে খুচরা মূল্যে পুরানো শীতবস্ত্র কাপড় বিক্রিতে ধুম পড়েছে।
বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে হাড়ভাঙ্গা শীত পড়ছে। অনুভূত হচ্ছে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা। গত বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো কাপড় বেচাবিক্রি ভালো।
১ম শ্রেণীর আবহাওয়া তথ্য পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক জানান , ৩জানুয়ারী বায়ু উঃ সন্ধ্যায় ১০.৮ কিঃমি ঘন্টা কার্যকর তাপমাত্রা সন্ধ্যা ১৬’/১৫’ রাত ১০’/৮’ সকাল ১৬’/১৬’বিকাল ২৫’/২৫ তাপমাত্রা আরও বেশ কয়েক দিন আবহাওয়া একটু বৃষ্টি পাত হওয়ার সম্ভাবনা ও একটু বেশি বাতাস হবে বলে জানান তবে আজকের সকাল ৯টার হইতে বিকাল ৩টায় পর্যন্ত আবহাওয়া তাপমাত্রা মেক্সিমেম ১৩/৬সেন্টি মিঃ