• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
দিনে ১০-১২ বার লোডশেডিং, গরমে অতিষ্ঠ নীলফামারীর মানুষ মালয়েশিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো গন্তব্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী গরমে লোডশেডিংয়ে ভুগছে গ্রামের মানুষ, ঢাকায় লোডশেডিংয়ে কম আগামী দিনে হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা, লাল গালিচা সংবর্ধনা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত: হাইকমিশনার কক্সবাজারে ‘রোহিঙ্গা ভোটারদের’ তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি ভিসা জটিলতায় এবারের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আশঙ্কা এজেন্সিগুলোর

বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো: তথ্যমন্ত্রী

Reporter Name / ১১৩ Time View
Update : রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না থাকলে দেশ গত তেরো বছরে আরও অনেক এগিয়ে যেতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টিএসসি সড়ক দ্বীপে পোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ ও বজ্রকণ্ঠের আয়োজিত দিন বদলের মেলায় উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত তের বছরে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারত যদি বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না থাকত, যদি তাদের পেট্রল বোমার রাজনীতি না থাকত, মানুষ হত্যার রাজনীতি যদি না থাকত এবং দিনের পর দিন মানুষকে অবরোধের নামে অবরুদ্ধ করে রাখার রাজনীতি না থাকত এবং দেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালানোর অপরাজনীতি যদি তারা না করত। আমরা দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে চাই। সেই স্বপ্নের ঠিকানা হচ্ছে ২০৩১ সাল নাগাদ দেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। ২০৪১ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। সেটি করতে হলে এই অপরাজনীতির অবসান হতে হবে। যারা অপরাজনীতি করেন তাদের পতন হতে হবে। অন্যথায়, আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারব না। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দিন বদলে গেছে। দিন বদলের কথা বলে আমরা ২০০৮ সালে মানুষের সামনে রূপকল্প উপস্থাপন করেছিলাম। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দিন বদলের রূপকল্প উপস্থাপন করেছিলাম এবং শ্লোগান দিয়েছিলাম। আজকের দৃশ্যের সঙ্গে তেরো বছর আগের দৃশ্য যদি আমরা মিলাই, তাহলে দেখতে পাবোÑদিন বদল হয়েছে। দিন বদলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নব্বই দশকে শ্লোগান ছিল শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকের মজুরি এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে, শ্রমিক একদিনের মজুরি দিয়ে ১২-১৩ কেজি চাল কিনতে পারে। অর্থাৎ দিন বদল হয়েছে। আমরা একসময় দাবি করতাম যেন মোটা কাপড় পরতে, মোটা চাল খেতে পারি। এখন রিকশাওয়ালাও মোটা চাল খায় না, মোটা চাল এখন গরুকে খাওয়ানো হয়। বাংলাদেশে এখন আর কুঁড়ে ঘর নেই, এখন আকাশ থেকেও কুঁড়েঘর দেখা যায় না। কবিতার কুঁড়েঘর শুধু কবিতায় আছে। আজ সেই কুঁড়েঘরে লাকড়ি, গরু রাখা হয় কিন্তু মানুষ থাকে না। মেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দিন বদলের পর্বটি শুরু হয়েছিলো দুই ধাপে। প্রথম ধাপে জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৭২-৭৫ পর্যন্ত। তখনই মূলত সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের দিন বদলের অনেকগুলো বীজ উপ্ত করলেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট একটি কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটলো। তারপরে স্থবিরতা চলে আসে। দিন বদলের আরেকটি বীজ উপ্ত হয়েছিল ১৭ মে ১৯৮১, যেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অনেক বাধাবিপত্তি মাথায় নিয়ে দেশে ফেরেন। আজকে যে বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, সেটা সম্ভব হতো না, যদি না বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন দেশে ফেরে রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণ না করতেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে একটি বড় কাজ হলো ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। সেটি শুধু সরকার করতে পারে না। সেটি করতে পারে সবাই মিলে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় আরও বক্তব্য রাখেনÑবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, মেলার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার আলী আজগরসহ আরও অনেকে।
পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটনকে কাজে লাগানোর আহ্বান: পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গত শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য কমপ্লক্সে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী পার্বত্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের সংস্কৃতি অনেক বৈচিত্র্যময়। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে একসময় সেখানে অনেক পর্যটক যেতেন। এখন তা কমে গেছে। কিন্তু এই অঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে দেশ ও দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। ‘জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছিল’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে সেই নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে এ অঞ্চলকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে প্রতিটি মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলেরও উন্নয়ন হয়েছে। তাই পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। অন্যথায় নিপীড়নকারীরা এখন ‘মায়াকান্না’ করলেও ক্ষমতায় এলে আবার দমন-পীড়নের পথ বেছে নেবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাসন্তী চাকমা, সচিব হামিদা বেগম, সাবেক সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, বান্দরবান ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যথাক্রমে ক্য শৈ হ্লা ও অংসুই প্রু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category