• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
দিনে ১০-১২ বার লোডশেডিং, গরমে অতিষ্ঠ নীলফামারীর মানুষ মালয়েশিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো গন্তব্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী গরমে লোডশেডিংয়ে ভুগছে গ্রামের মানুষ, ঢাকায় লোডশেডিংয়ে কম আগামী দিনে হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা, লাল গালিচা সংবর্ধনা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত: হাইকমিশনার কক্সবাজারে ‘রোহিঙ্গা ভোটারদের’ তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি ভিসা জটিলতায় এবারের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আশঙ্কা এজেন্সিগুলোর

যাত্রী পরিবহনের জন্য সরকারের বিমান রয়েছে ২১টি: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

Reporter Name / ১১৮ Time View
Update : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিমান) বহরে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিদ্যমান মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১টি। এর মধ্যে ১৮ টি নিজস্ব বিমান এবং বাকি তিনটি লিজকৃত (ইজারা নেওয়া)। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়। উড়োজাহাজ বহর সম্প্রসারণের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিমানকে লাভজনক ও নতুন নতুন রুট চালুসহ বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুট চালুর জন্য ২০২১ সালের ১৭ মার্চ হতে সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট, ২০২১ এর ৭ অক্টোবর হতে ঢাকা-সৈয়দপুর, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর হতে সিলেট-কক্সবাজার ও কক্সবাজার-সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় বর্তমানে পরিচালিত সব অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে সাপ্তাহিক ফ্রিকোয়েন্সী বৃদ্ধি ও কিছুসংখ্যক অপ্রচলিত রুট যেমন: যশোর-চট্টগ্রাম-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ছোট আকারের উড়োজাহাজ সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর দেশের সব অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করা হয়। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পুনঃপ্রবর্তন ও নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১৯ মে দিল্লী, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবরে মদিনা, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ম্যানচেস্টার, ২০২০ সালের ৬ জুলাই হংকং, ২০২০ সালের ১৬ আগস্টে গুয়াংজু ও ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি শারজাহতে ফ্লাইট পরিচালনা/পুনঃপ্রবর্তনসহ বিভিন্ন গন্তব্যে সাপ্তাহিক ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়েছে। ২০২২ সালের ২৬ মার্চ কানাডার টরন্টোতে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী ১১ জুন থেকে ঢাকা ও টরন্টোর মধ্যে বিরতিহীন বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর থেকে সিলেট-লন্ডন-সিলেট রুটে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা চালু রয়েছে। নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, নারিতা ও বাহরাইনে ফ্লাইট পুনঃপ্রবর্তন ও নতুন গন্তব্য হিসেবে চেন্নাই, মালে ও কলম্বোতে বিমানের সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত হওয়া সাপেক্ষে অদূর ভবিষ্যতে নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বিদ্যমান রুটসমূহ মূল্যায়নপূর্বক লাভজনক রুট চিহ্নিতকরণ ও নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নতুন বিমান ক্রয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্রয় চুক্তির আওতায় ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিমান বহরের জন্য মোট ১৫টি নতুন উড়োজাহাজ কেনা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ থেকে ২০১৯ সময়কালে চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি ৭৩৭-৮০০, চারটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ও দুটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজসহ মোট ১২টি নতুন উড়োজাহাজ সংগ্রহ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বহরে বিদ্যমান পুরাতন উড়োজাহাজ বাতিল করে বহর আধুনিকায়নপূর্বক বাংলাদেশ বিমান এক নতুন যুগে প্রবেশ করে। জি টু জি চুক্তির ব্যাপারে মাহবুব আলী বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে পরিচালনার জন্য তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ কিনতে বিমান ও কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের (সিসিসি) মধ্যে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট জি টু জি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় ক্রয়কৃত প্রথম উড়োজাহাজটি ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর, দ্বিতীয়টি ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ও তৃতীয়টি ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিমান বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া লিজভিত্তিতে পরিচালিত একটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ ২০২০ সালের জুন ও ২০২১ এর ডিসেম্বরে আরোও দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে সংযোজন করা হয়। এ ছাড়া যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়াতে বিমান বহরে নতুন প্রজন্মের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী উড়োজাহাজ সংযোজনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category