• সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২০ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
দদুর্নীতির বড় অভিযুক্তরা পাশের দেশে আছেন: দুদক চেয়ারম্যান এবারও আসছে তীব্র তাপপ্রবাহ, নেই তেমন প্রস্তুতি লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যে সাবেক এমপি চয়নকে গ্রেফতার করলো পুলিশ হাওরে কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ‘ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ২৫ কর্মকর্তার লকারই পায়নি দুদক কৃষিঋণ বিতরণ কমায় বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা আমরা একটি সুস্থ জাতি দেখতে চাই: সেনাপ্রধান

লুট করা স্বর্ণ গলিয়ে পাত বানিয়ে বিক্রি করতো ডাকাতচক্র

Reporter Name / ৪৯০ Time View
Update : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আশুলিয়া ও রাপা প্লাজায় ডাকাতি মামলা তদন্তে লুট করা স্বর্ণালঙ্কারের বিষয়ে চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্যরা লুট করা স্বর্ণালঙ্কার গলিয়ে ‘পাত’ বানিয়ে বেচাকেনা করতো বলে জানিয়েছে সিআইডি। সিআইডি জানায়, লুট করা স্বর্ণালঙ্কার রাজধানীর তাঁতীবাজারে অবৈধভাবে বেচাকেনার সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে সিআইডির কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুট করা স্বর্ণালঙ্কার গলিয়ে ‘পাত’ বানিয়ে তাঁতীবাজারে বিক্রি করতো একটি সিন্ডিকেট। গতকাল বুধবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদসম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর। এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়ারহাট বাজারে ১৯টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩০ থেকে ৪০ জন সশস্ত্র ডাকাত স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ টাকাসহ মোট ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার টাকার লুট করে। এ ঘটনার পর ধারাবাহিক অভিযানে নামে সিআইডি। অভিযানে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শাহানা আক্তার (২৪) নামে এক ডাকাতের স্ত্রীকে স্বর্ণ বিক্রির নগদ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকা ও আনুমানিক ৩ থেকে ৪ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আল মিরাজ মিন্টু (৩৮) ও কামাল খান (৩৯), আনোয়ার হাওলাদার (৩৯), দেলোয়ার হোসেন খলিফা ( ৩৬), আ. রহিম (৫৫), আল মিরাজ ওরফে মিন্টু (৩৮), কামাল খা (৩৯), মো. সাগর (৪০) এবং ডাকাতির জিনিস কেনার দায়ে সবুজ রায় (৩২) ও রহিমকে (৩১) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে শাহানা, আনোয়ার, দেলোয়ার, সবুজ রায়, আ. রহিম, আল মিরাজ ও কামাল খাঁ আশুলিয়ায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকার ডাকাত সদস্য রহিমের বাসা থেকে আশুলিয়ায় লুট হওয়া ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১৪ লাখ টাকা। সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডির রাপা প্লাজার রাজলক্ষী জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আশুলিয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার সবুজ রায় ও রহিমসহ আরও ৫ থেকে ৬ জন রাপা প্লাজায় ডাকাতির কথাও স্বীকার করেছেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নয়াবাজার এলাকার সবুজের বাসা থেকে রাপা প্লাজায় লুট হওয়া ১২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ডাকাতির স্বর্ণালঙ্কার তাঁতীবাজারে অবৈধভাবে বেচাকেনার সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে সিআইডির কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুট করা স্বর্ণালঙ্কার গলিয়ে স্বর্ণের ‘পাত’ বানিয়ে তাঁতীবাজারে বিক্রি করতো একটি সিন্ডিকেট। যা সবুজ রায় ও রহিমের জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে। আশুলিয়া ও রাপা প্লাজায় ডাকাতি মামলার তদন্তে তাঁতীবাজারের চক্র চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category