• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন

‘সিটিং সার্ভিস’ বন্ধে ঢাকার রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত

Reporter Name / ২০৮ Time View
Update : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনে ‘সিটিং সার্ভিসের’ নামে অনিয়ম বন্ধে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিববহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ অন্যান্য অভিযোগের বিরুদ্ধেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর এ অভিযানে সহায়তা করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনও। বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলম রোববার সকালে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তাদের আটটি এবং জেলা প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। সিটিং সার্ভিস, গেটলকের নামে কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া না নেয়, তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের প্রায়োরিটি কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে। এক টাকা বেশি ভাড়া নিলেও আমরা ধরছি। এ ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা থাকলেও সেটাও দেখছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গত ৭ নভেম্বর বাসভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। পরদিন থেকে সেই ভাড়া কার্যকর হয়, কিন্তু ঢাকার রাস্তায় বাস ও মিনিবাসে তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আসতে থাকে। এই অনিয়ম বন্ধে ১০ নভেম্বর থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি গত বুধবার ঘোষণা দেয়, ঢাকায় ‘সিটিং সার্ভিস’ ও ‘গেইট লক’ বলেও কিছু থাকবে না। সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সেদিন বলেছিলেন, তিনদিন পর থেকে এ বিষয়ে বিআরটিএর সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে। কিছু বাস আসন সংখ্যার সমান যাত্রী পরিবহন করে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করে। এসব বাসের গায়ে লেখা থাকে ‘সিটিং সার্ভিস। আবার এসব বাস নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া থামে না বলে কখনও কখনও বলা হয় ‘গেইটলক সার্ভিস’। বাসের ৯৫ শতাংশ আসনে যাত্রী থাকবে, ৫ শতাংশ সিট খালি থাকবে হিসাব ধরেই বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। সেখানে সব বাসই সিটিং হওয়ার কথা, দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী যাওয়ার কথা নয়। এর আগে ২০১৭ সালেও সিটিং সার্ভিস বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেই উদ্যোগ আর কার্যকর হয়নি। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গতকাল রোববার বলেন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সহায়তা করতে মালিক-শ্রমিকরাও মাঠে রয়েছেন। আমাদের ঘোষণা ছিল ‘সিটিং সার্ভিস’ ও ‘গেইট লক’ নামে কিছু থাকবে না। এজন্য বিআরটিএকে সহায়তা করতে আমরা মাঠে আছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category