• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
উপজেলা ভোটে দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে থাইল্যান্ড সফর দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক উন্নয়নে এক মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের সংসদ অধবিশেন চলবে ৯ মে র্পযন্ত মাদ্রাসার সভাপতি হতে স্বাক্ষর জালিয়াতি, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বান্দরবানে কেএনএফের আরো ১ নারী আটক: রিমান্ড ফেরত ১৪ জন আসামি কারাগারে অফিস সময়ে চিকিৎসকরা হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৪৬ কিলোমিটার বাড়ছে ঢাকা আউটার রিং রোডের দৈর্ঘ্য, ব্যয় বাড়ছে তিনগুণ বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে: শিক্ষামন্ত্রী জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন যুবলীগ নেতা রুবেল: ডিবি

Reporter Name / ১৭৩ Time View
Update : রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকা- ঘটেছে বলে জানিয়েছে ডিবি। হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আটজনকে গত শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন- হাবিব আহসান (২২), মো. আলিফ হোসাইন (২১), মো. রবিউল সানি (২১), মো. মেহেদী হাসান (১৯), মো. শাহজালাল (৩৭), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮), নুর আলম (৪২) ও মো. সুমন মীর (২৮)। ডিবি জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হাবিব ও শাহজালাল এই হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী। স্থানীয় বাজার ও ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে শাহজালালের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল রুবেলের। আজ রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী শাহজালাল ও নিবির নামে দুই ব্যক্তি। দুইজনই স্থানীয় চাঁদাবাজ। শাহজালালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৫টির ওপরে মামলা রয়েছে। এলাকার ফুটপাত ও বাজারের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে রুবেলের সঙ্গে বিরোধ হয় নিবির ও শাহজালালের। আধিপত্য বিস্তারের জেরে নিবির এবং শাহজালাল মিলে রুবেলকে মারার জন্য হাবিব নামে একজনকে ঠিক করেন। তারই ধারাবাহিকতায় হাবিবকে চাপাতি কেনার জন্য ৪ হাজার টাকা দেন নিবির। এরপর খিলগাঁও বাজার থেকে দুটি চাপাতি কেনেন হাবিব। পরবর্তীতে ঘটনার আগের দিন শাহজালাল ও হাবিব মিলে রুবেলকে মারার পরিকল্পনা করেন। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার দিন অনন নামে আরেকজন তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে রুবেলের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন। পরে রুবেল রিকশাযোগে বাসার দিকে রওনা হলে অনন সেই খবর হাবিবকে জানান। এই খবর পেয়ে হাবিব ও আলিফ চাপাতি নিয়ে রুবেলের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। তখন মেহেদী হাসান ও সানি রাস্তার দুই পাশে পাহারায় ছিলেন। পরে রুবেলকে রিকশায় দেখেতে পেয়ে হাবিব এবং আলিফ চাপাতি নিয়ে এগিয়ে আসলে রুবেল দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় পেছন থেকে হাবিব ও আলিফ তাকে ধাওয়া করেন। ডিবি প্রধান বলেন, আলিফ রুবেলের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। সে সময় হাবিব ও আলিফ চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পালানোর সময় চাপাতি রাস্তার পাশে ফেলে দেন। পরে ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত- এমন প্রশ্ন করা হলে হারুন অর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। অননসহ আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category