• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
উপজেলা ভোটে দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে থাইল্যান্ড সফর দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক উন্নয়নে এক মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের সংসদ অধবিশেন চলবে ৯ মে র্পযন্ত মাদ্রাসার সভাপতি হতে স্বাক্ষর জালিয়াতি, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বান্দরবানে কেএনএফের আরো ১ নারী আটক: রিমান্ড ফেরত ১৪ জন আসামি কারাগারে অফিস সময়ে চিকিৎসকরা হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৪৬ কিলোমিটার বাড়ছে ঢাকা আউটার রিং রোডের দৈর্ঘ্য, ব্যয় বাড়ছে তিনগুণ বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে: শিক্ষামন্ত্রী জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

গর্ভের শিশুর লিঙ্গ-পরিচয় শনাক্ত রোধে রুলের রায় ২৫ ফেব্রুয়ারি

Reporter Name / ২৬ Time View
Update : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গর্ভের শিশুর লিঙ্গ-পরিচয় শনাক্ত রোধ প্রশ্নে রুলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তীর্থ সলিল রায়। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি এ রিট আবেদন দায়ের করেন। একই সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা বা নির্দেশনা তৈরি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অনাগত শিশুর লিঙ্গ-পরিচয় নির্ধারণে নীতিমালা তৈরি করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সাত বিবাদীকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই সময় রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান জানিয়েছিলেন, ভারতে আইন করে গর্ভজাত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ-নির্ধারণ করা হলে প্রসূতি মায়ের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে গর্ভপাত করার ঘটনাও ঘটে। এরপর ইএনএফপিএ, সরকারি ও বেসরকারিসহ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা করে এ নীতিমালা তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর প্রিভেনশন অব সন প্রিফারেন্স অ্যান্ড দ্য রিস্ক অব জেন্ডার বায়সড সেক্স সিলেকশন’। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন করবে, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নার্সিং ও মিডওয়াইফেরি অধিদপ্তর। আর বাস্তবায়নের জন্য অংশীদার হিসেবে রাখা হয়েছে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। সম্প্রতি এ নীতিমালা হলফনামা করে হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। ইশরাত হাসান জানান, গর্ভের সন্তানের পরিচয় প্রকাশ না করার বিষয়টি একেবারে কোনো প্রকার আপত্তি ছাড়াই মেনে নিয়েছে। এটা জানার অধিকার কারো নেই। কারণ এতে মা মানসিক চাপের শিকার হতে পারেন। এতে মা ও অনাগত সন্তান উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে। এটা বাস্তবায়ন হলে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে যেমন গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে জানতে পারে না, তেমনি এ বিষয়টা জানানো বন্ধ হয়ে যাবে যে মাতৃগর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। যার ফলে আমরা একটা সুস্থ সন্তান পাবো। অনেক সময় দেখি গর্ভের সন্তান কন্যা থাকলে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হন সেগুলো থেকে মা ও শিশু রক্ষা পাবে। এ ছাড়া কন্যাসন্তান হলে কোনো কারণে অ্যাবরশনের ঝুঁকি থাকে সেগুলো থেকে নিস্তার পাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category