• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালকসহ আহত ৪ উপজেলা ভোটে দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে থাইল্যান্ড সফর দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক উন্নয়নে এক মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের সংসদ অধবিশেন চলবে ৯ মে র্পযন্ত মাদ্রাসার সভাপতি হতে স্বাক্ষর জালিয়াতি, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বান্দরবানে কেএনএফের আরো ১ নারী আটক: রিমান্ড ফেরত ১৪ জন আসামি কারাগারে অফিস সময়ে চিকিৎসকরা হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৪৬ কিলোমিটার বাড়ছে ঢাকা আউটার রিং রোডের দৈর্ঘ্য, ব্যয় বাড়ছে তিনগুণ বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে: শিক্ষামন্ত্রী

জাল সার্টিফিকেট চক্র: জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে

Reporter Name / ৭ Time View
Update : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাল সার্টিফিকেট তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন আমরা কাউকে ছাড় দেবো না, এখন পর্যন্ত কাউকে ছাড় দেইনি। যত বড় রাঘব-বোয়াল জড়িত থাক না কেন, আমাদের তথ্য উপাত্তে যদি চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আমরা তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবো। আমরা যেকোনও সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকবো। উল্লেখ্য, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে জাল সার্টিফিকেট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে হারুন জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান ও একই প্রতিষ্ঠানের চারিচ্যুত ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের ব্যক্তিগত সহকারী ফয়সাল গ্রেপ্তার করে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সার্টিফিকেট তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতাদের দেওয়া তথ্য মতে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র, এবং শতশত সার্টিফিকেট মার্কশিট তৈরি করার মতো বিশেষ কাগজপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্ল্যাংক কপি, শতাধিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা, গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী গত ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার সদর থানা এলাকা থেকে গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে গ্রেপ্তার করে হয়। গ্রেপ্তার এই তিন জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। হারুন বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের মোবাইল ফোন পরীক্ষানিরীক্ষা করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কামরাঙ্গীরচর হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে (৪৮) গত ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো.মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে (৪০) গত ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া সর্বশেষ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে (৫৪) গত শনিবার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিবি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার একে এম শাসমুজ্জামান ও তার ব্যক্তিগত সহযোগী ফয়সাল গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে বিভিন্নজনের কাছে হ্যান্ডওভার করেছে। একইসঙ্গে সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের মধ্যে বিক্রি করা সার্টিফিকেটগুলোকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনও দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে গুগলে সার্চ করলে তা সঠিক বলে তথ্য পাওয়া যায়। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীর তথ্য সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদন নিবেদনের ফোকাল পারসন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। কোনোক্রমে ই সিস্টেম অ্যানালিস্ট বা কম্পিউটার অপারেটররা নয়। সিস্টেম এনালিস্ট বা কম্পিউটার অপারেটরা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে সংবেদনশীল এই কাজগুলো করার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি বেসরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রিন্সিপালরা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর সৃষ্টি, রেজাল্ট পরিবর্তন-পরিবর্ধন, নাম ও জন্ম তারিখ সংশোধনের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে টাকার বিনিময়ে আদান-প্রদান করেছে কম্পিউটার অপারেটর ও সিস্টেম এনালিস্টদের সঙ্গে। এ রকম প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিপরায়ণ ২৫/৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কিছু দুর্নীতিপরায়ণ সিবিএ দালাল-কর্মচারী-কর্মকর্তা, কম্পিউটার এবং পরিদর্শন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেজাল্ট পরিবর্তন, নাম ঠিকানা পরিবর্তন, প্রার্থীদের বয়স পরিবর্তন, অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর, রোল নম্বর প্রদান সংক্রান্ত কাজগুলো করার সিন্ডিকেট বানিয়েছে, যুক্ত করেন ডিবি প্রধান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category