• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্ব থাকবে জনস্বাস্থ্যেও: পরিবেশ মন্ত্রী অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় বিকল্পভাবে পণ্য আমদানির চেষ্টা করছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে: রাষ্ট্রপতি শান্তি আলোচনায় কেএনএফকে বিশ্বাস করেছিলাম, তারা ষড়যন্ত্র করেছে: সেনাপ্রধান বন কর্মকর্তার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম: ১৪ বছর ধরে সরানোর অপেক্ষা ভাসানটেক বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হবে : মেয়র আতিক

ডাচ্-বাংলার টাকা ছিনতাই: পরিকল্পনায় ছিলেন তিনজন

Reporter Name / ১১১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনায় ছিলেন তিনজন। একজনের নাম আকাশ, অন্যজন হলেন সোহেল রানা। অপরজনের নাম জানা যায়নি। এরমধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী আকাশকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আর সোহেল রানা পলাতক। তিনি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে একসময় গাড়ি চালাতেন। ডিবি জানায়, ছিনতাইয়ের মূল ছক সাজান আকাশ ও সোহেল রানা। সোহেল রানা আবার মানি প্ল্যান্ট লিংকের টাকা নেওয়ার খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতেন। ফলে কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই সেদিন তারা মাইক্রোবাসটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর ছিনতাই করা টাকার একটি বড় অংশ নিয়ে পালিয়ে যান সোহেল রানা। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৭ কোটি ৫৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। সবশেষ ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, আমাদের একাধিক ডিবি টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। গতরাতে রাজধানীর গুলশান কড়াইল বস্তির বউবাজার থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম হৃদয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৮ লাখ ৭ হাজার টাকা। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে মিলন নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে পাওয়া যায় ১০ লাখ টাকা। এ দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী। ডিবিপ্রধান বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় ডাকাত দলে ১০-১২ জন ছিলেন। যখন মানি প্ল্যান্ট লিঙ্কের গাড়ি থেকে ট্রাংকগুলো নিয়ে ডাকাতদের ভাড়া করা হাইসে তোলা হয়, তখন একজন উঠতে না পেরে দৌড়াতে থাকেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার নামই আকাশ। তিনি মূল মাস্টারমাইন্ড। হারুন অর রশীদ বলেন, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজন মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। এদের মধ্যে একজন আকাশ, আরেকজন সোহেল রানা ও আরেকজনের নাম জানা যায়নি। গ্রেপ্তার বাকি আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে হারুন বলেন, আমরা বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছি। তারা জানিয়েছে, এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় কয়েক স্তরে বিভিন্নজনের আলাদা দায়িত্ব ছিল। কেউ ছিলেন পরিকল্পনাকারী, কেউ ছিলেন মোবাইল ও সিম সংগ্রহকারী, কেউ ছিলেন কামলা ও কামলা সংগ্রহকারী। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাতির ঘটনায় অংশগ্রহণকারীদের সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল থেকে সংগ্রহ করা হয়। ডাকাতির পর তারা টাকা ভাগ করে যার যার মতো বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে যান। আর বেশকিছু টাকা খরচ করেন বিভিন্ন খাতে। ফলে জড়িতদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধারে কিছুটা বিলম্ব হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের সবাইকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে আরও কেউ জড়িত কি না বা মানি প্ল্যান্ট লিঙ্কের কেউ জড়িত ছিলেন কি না তা জানা যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category