• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
উপজেলা ভোটে দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে থাইল্যান্ড সফর দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক উন্নয়নে এক মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের সংসদ অধবিশেন চলবে ৯ মে র্পযন্ত মাদ্রাসার সভাপতি হতে স্বাক্ষর জালিয়াতি, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বান্দরবানে কেএনএফের আরো ১ নারী আটক: রিমান্ড ফেরত ১৪ জন আসামি কারাগারে অফিস সময়ে চিকিৎসকরা হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৪৬ কিলোমিটার বাড়ছে ঢাকা আউটার রিং রোডের দৈর্ঘ্য, ব্যয় বাড়ছে তিনগুণ বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে: শিক্ষামন্ত্রী জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প: বর্ষার কারণে আটকে আছে কাজ

Reporter Name / ৩৬৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্ষার কারণে আটকে আছে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ কার্যক্রম। বর্ষা শেষ হলেই পুরোদমে এগিয়ে যাবে এ প্রকল্পের কাজ। এ মেগা প্রকল্পটি ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রথমে ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা খরচ ধরা হলেও পরে কয়েক দফা বাড়িয়ে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা করা হয়েছে। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নরের কথা থাকলেও ২ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩৫ ভাগ কাজ। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে কাজ। বাকি কাজ শেষ হলেই ট্রেন যাবে পর্যটন নগর কক্সবাজারে। জানা গেছে, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মোট ৯টি দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডুলহাজারা রেলস্টেশনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দোহাজারী, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজারে রেল স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। তবে, সাতকানষ্টিয়া ও রামুতে রেলস্টেশন নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। বর্ষার কারণেই সেখানে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। একমাসের মধ্যে সেখানেও কাজ শুরু হবে। কক্সবাজার সদরের পানিরছড়া এলাকায় ৭ কিলোমিটার রেলপথ এখন দৃশ্যমান। ওই এলাকায় রেল ট্র্যাক নির্মাণের পাশাপাশি সিগন্যালিং কেবল (তার) টানার কাজ শেষ পর্যায়ে। জায়গা ভেদে ১৫ ফুট থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত মাটি ভরাট করতে হচ্ছে এ প্রকল্পে। কোথাও ১৫, কোথাও ১২, কোথাও ১০, কোথাও ৫ ফুট মাটি ভরাট করতে হচ্ছে। সাতকানিয়ায় এখনো মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়নি। সব মিলিয়ে ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বেরের মধ্যে কক্সবাজারে ট্রেনে যাওয়া যাবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। এই রেলপথ চালু হলে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়বে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে। পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের রূপ। প্রকল্প এলাকায় মোট ১৫ কিলোমিটার বন থাকায় সেখানে কাজের অগ্রগতি কম। বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু স্থাপনা-খুঁটি এ রেলপথের আওতায় পড়ায় সেখানে কাজে বিঘœ ঘটছে। এসব সরিয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে। কিন্তু এখনো পুরোপুরি সরানো হয়নি। তবে বর্ষা শেষ হলেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে প্রকল্পের কাজ। প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলনে, করোনা আর বর্ষার কারণে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজে বিঘœ ঘটেছে। আমরা কাজ করছি। মন্ত্রী মহোদয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কক্সবাজারে যাতে ট্রেন যেতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এরইমধ্যে তিনি প্রকল্পও পরির্দশন করেছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। তিনি বলেন, বর্ষার কারণে যে সব জায়গায় কাজ বন্ধ রয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে সেখানেও পুরোদমে কাজ শুরু হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category