নিজস্ব প্রতিবেদক :
মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দুটি দায়ের করেন দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। মামলা দুটি গত রোববার নথিভুক্ত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক জি এম আহসানুল কবীর। মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রিক হক সিকদারের এফসি একাউন্টে ব্যালেন্স না থাকা সত্ত্বেও গাইডলাইন্স ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন্স (জিএফইটি), বিআরপিডি সার্কুলারের ‘প্রুডেনসিয়াল রেগুলেশন্স ফর কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিংয়ের ‘রেগুলেশনস ফর ক্রেডিটকার্ডস-রেগুলেশন-১৩’ -এর নির্দেশনা লঙ্ঘন করেন তারা। পরে বিধিবহির্ভূতভাবে ২০১৭ সাল থকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে ৬টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার যা ২০১৭ সালের দর অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয় করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করে পাচারকৃত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর ও গোপনের মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করেন। যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, দ-বিধি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ মামলার আসামিরা হলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক পরিচালক রিক হক সিকদার, ব্যাংকটির সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল এবং চৌধুরী মোশতাক আহমেদ। দ্বিতীয় মামলাটির এজাহারে বলা হয়েছে, একইভাবে নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বিধিবহির্ভূতভাবে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সাতটি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ ডলার, ২০১৭ সালের রেট অনুযায়ী যা বাংলাদেশি টাকায় ৫০ কোটি টাকা পাচার করেছেন আসামিরা। দ্বিতীয় মামলার আসামিরা হলেন– ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক পরিচালক রন হক সিকদার, ব্যাংকটির সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল এবং চৌধুরী মোশতাক আহমেদ।