• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Reporter Name / ৫০ Time View
Update : শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে টাকা পাচার কমবে। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ আয়োজিত ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: অ্যাডভান্সেস ইন হেলথ’ শীর্ষক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন ড. মোমেন। অনুষ্ঠান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভিসা (যুক্তরাষ্ট্রের) বড়লোকরা নেয়, সরকারি কর্মচারী, কিছু বড় ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ যাদের ভিসার দরকার হয়, যাদের ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়ে, বিদেশে বাড়ি বানিয়েছেন, যারা টাকা পাচার করেছেন। এতে হয়তো আশা করি, টাকা পাচার কমবে। কারণ ওঁরা নিয়ে গিয়ে তো স্থাপনা তৈরি করেন। আর যারা গরিব লোক, ইলেকশনে রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট হয়। তারা তো ভিসার জন্য আসেই না। ভিসানীতি নিয়ে সরকার বিব্রত কি না জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, মোটেও না। ভিসা দেওয়া না দেওয়া ওদের (আমেরিকা) ব্যাপার, এটি আমাদের বিষয় নয়। ভিসা আমেরিকা নিজের দায়িত্বের জন্য দেয়। তিনি বলেন, আমি খুশি হবো তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চান, সেটিই সাহায্য করার জন্য তারা তাদের এই ভিসা নীতি প্রচলন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন ভিসানীতি নিয়ে সরকারের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাইবো এই ভিসানীতির আওতায় জ¦ালাও-পোড়াও বন্ধ করো। কারণ, জ¦ালাও-পোড়াওয়ে যারা একবার জ¦লেছে, এখন জীবিত আছে, তাদের চেহারার দিকে তাকালে বড় দুঃখ পাবেন। আমরা আর জ¦ালাও-পোড়াও চাই না। ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন জ¦ালানো, পোড়ানো হয়েছে যদি এই আইনের (ভিসানীতি) কারণে জ¦ালাও-পোড়াও বন্ধ হয়, তা হবে আশীর্বাদ। সুতরাং জ¦ালাও-পোড়াও কারা করে? আপনারা জানেন। যারা করে তাদের সতর্ক হওয়া দরকার। তাদের নেতৃত্বের সতর্ক হওয়া দরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পূজারি। আমরা এ দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরাই গণতন্ত্রের মধ্যে সব সময় নির্বাচিত হয়েছি। ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনো আবেদন করবেন কি না এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা একটি সুন্দর, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার। সেই ইনস্টিটিউশন ডেভেলপ করেছি। আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। সেখানে অন্য লোক সাহায্য করেন ভালো। না করলেও ইউ আর কমিটেড টু ইট। চীনের ভাইস মিনিস্টারের বাংলাদেশে আসা নিয়ে করা অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, আসুক। আসবেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। সবাই আসবে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি আমার জানা নেই। তবে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কোনো রাষ্ট্রদূত এখনও পর্যন্ত আবেদন করেননি। এ ছাড়া বিদেশি কোনো দেশ এমন অন্যায় কাজ করেনি যে তাদের ওপর হামলা হবে। আমাদের দেশে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই। এটি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রদূতদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। তবে সাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার ঘটনা বদিউল আলম মজুমদারের পারিবারিক সমস্যার কারণে হয়েছিল। সেটি শালা-দুলাভাইয়ের মধ্যে সমস্যা, যেটি পরে রাষ্ট্রীয় সমস্যা হয়ে গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category