• বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী তীব্র শিক্ষক সঙ্কট নিয়েই চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ৮ দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির আদেশ বহাল দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোয়াংছড়ি উপজেলার কুকি চীন সন্ত্রাসী বাহিনীরা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির গ্রস্তে সেনা পরিদর্শন করেন ১৬ আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো পণ্যবাহী নতুন লাগেজ ভ্যান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

তুরস্কে খনি বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত, আটকা বহু

Reporter Name / ৭২ Time View
Update : শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে একটি কয়লা খনিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন মারা গেছেন। ভেতরে আটকা পড়েছেন আরও কয়েক ডজন শ্রমিক। তাদের জীবিত উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির বার্তিন প্রদেশের আমাসরা শহরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বার্তিন প্রদেশের গভর্নর নুরতাক আর্সলান শনিবার ভোরে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত ৩৬ জন খনিশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে।

তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের ১১০ জন ভাই (খনির ভেতরে) কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেরাই বেরিয়ে আসেন এবং কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, কিছু শ্রমিক মাটির ৩৫০ মিটার গভীরে এবং ৪৪ জন ৩০০ মিটার গভীর আরেকটি স্থানে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনেটে কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় বন্দরনগরী আমাসরার একটি খনির ৩০০ মিটার গভীরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে।

তুরস্কের ম্যাডেন ইজ খনি শ্রমিক ইউনিয়ন এ বিস্ফোরণের জন্য মিথেন গ্যাসকে দায়ী করেছে। তবে অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনো আসেনি।

টেলিভিশনে প্রচারিত ছবি ও ভিডিওতে ঘটনাস্থলের পাশে উদ্বিগ্ন জনতার ভিড় দেখা গেছে। চোখে অশ্রু নিয়ে স্বজনদের খোঁজে একটি সাদা রঙের ভবনের সামনে সমবেত হয়েছেন তারা। সেখানে সারিবদ্ধভাবে একাধিক অ্যাম্বুলেন্সও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, তিনি সব কর্মসূচি বাতিল করে শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন। এক টুইটে এরদোয়ান বলেন, আমরা আশা করছি, প্রাণহানি আর বাড়বে না, আমাদের খনি শ্রমিকদের জীবিত পাওয়া যাবে।

তুরস্কের ইতহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী খনি দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। ওই বছর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোমায় একটি খনিতে বিস্ফোরণে ৩০১ জন শ্রমিক মারা যান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category