ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার আপিল শুনানি ১৮ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আগামী ১৮ জানুয়ারি শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ। আসামিপক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এর আগে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মৃতদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত ২ আসামি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। সেসব আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দ-াদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দ- কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দ-াদেশ বহাল রাখা হয়েছে যে দুই আসামির তারা হচ্ছেন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। যে দু’জনের ফাঁসির দ- কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হচ্ছেন, মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আবদুস সালাম। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে কৃষকের লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে

রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার আপিল শুনানি ১৮ জানুয়ারি

আপডেট সময়ঃ ০৮:০২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আগামী ১৮ জানুয়ারি শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ। আসামিপক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এর আগে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মৃতদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত ২ আসামি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। সেসব আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দ-াদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দ- কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দ-াদেশ বহাল রাখা হয়েছে যে দুই আসামির তারা হচ্ছেন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। যে দু’জনের ফাঁসির দ- কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হচ্ছেন, মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আবদুস সালাম। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন।