• মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
ডিসেম্বরকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় নির্বাচনেরই প্রস্ততি নিচ্ছে ইসি দদুর্নীতির বড় অভিযুক্তরা পাশের দেশে আছেন: দুদক চেয়ারম্যান এবারও আসছে তীব্র তাপপ্রবাহ, নেই তেমন প্রস্তুতি লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যে সাবেক এমপি চয়নকে গ্রেফতার করলো পুলিশ হাওরে কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ‘ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ২৫ কর্মকর্তার লকারই পায়নি দুদক কৃষিঋণ বিতরণ কমায় বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙা ছাত্রদের কাজ নয়: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ১৭৮ Time View
Update : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যানবাহন ভাঙচুর করা তাদের কাজ নয়। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙা ছাত্রদের কাজ নয়, এটা কেউ করবেন না। দয়া করে যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান, লেখাপড়া করেন। আর যারা দোষী তাদের খুঁজে বের করে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে, সেটা আমরা করব। শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে বিজয়ের মাসের প্রথম দিন বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল এবং রাজধানীর ধানমন্ডিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২ তলা ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সতর্ক। সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধীদের খুঁজে বের করা হয়েছে। তাছাড়া সবকিছুর ভিডিও ফুটেজও রয়েছে। তাই যে কোনো সময় যে কোনো অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে তাদের ধরে ফেলা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেই সেটা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে এই গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন দেওয়ার ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের খুঁজে বের করা হবে, শাস্তি দেওয়া হবে। যে গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে সে গাড়িতে যদি কেউ মারা যায় বা আগুনে পোড়ে, তার জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এ কথাও মাথায় রাখতে হবে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ময়লার গাড়িতে পর পর পথচারী নিহত হবার ঘটনা তিনি যথাযথভাবে তদন্ত করে দেখারও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আমি এটুকুই চাই, আমাদের দেশের যে উন্নয়ন আমরা করে দিচ্ছি, সেটা ধরে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজকের শিশুরা আগামী দিনের সোনার বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারপার্সন লাকী ইনাম এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান ও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ম্যুরাল এবং ‘জয়িতা টাওয়ার’এর ওপর দু’টি ভিডিও চিত্রও পরিবেশিত হয়। সড়কের অবস্থা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দৌড় দেবে আর দুর্ঘটনা ঘটবে, দুর্ঘটনা ঘটলেই রাস্তায় লোক নেমে গাড়ি ভাঙা, গাড়িতে আগুন দেওয়া, গাড়ি পোড়ানো, এটা কী ধরনের কথা? একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, তার সেবা না করে লাঠিসোটা নিয়ে নেমে পড়লো গাড়ি ভাঙা, আগুন দেওয়ার কাজে। আমার এখানে একটা প্রশ্ন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র জাতির কাছে। এই দুর্ঘটনার পর আগুন দেওয়া শুরু হলো, এ গাড়িতে কি নারী-শিশু বা ছাত্র-ছাত্রীরা নেই? ঐ আগুনে যারা পুড়বে, আহত হবে বা মারাও যেতে পারে, তার দায়িত্ব কে নেবে? খুব স্বাভাবিক বিষয় হচ্ছে, যারা আগুন দেবে তাদের ওপরই দায় বর্তায়। তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, তাই আমি বলবো, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আর গাড়ি চালকদেরকেও আমি বলবো তাদেরও সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে। দেশে করোনার বিস্তার বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ হবে বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের সময়কে কাজে লাগাতে এবং ক্লাসে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ সারা বিশ্বে নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফ্রিকায় শুরু হওয়া কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ এই ভ্যারিয়েন্টকে সবচেয়ে মারাত্মক হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশে ‘ওমিক্রন’ ঠেকাতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখতে হবে যে এই করোনা ভাইরাস কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি, এখন শিক্ষার্থীদেরও দিচ্ছি। বর্তমানে আবার নতুন আরেকটা ওয়েব আসছে। কাজেই এটা মাথায় রাখতে হবে যদি এটা বিস্তার লাভ করে তাহলে যেকোনো সময় আবার কিন্তু সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। যেটুকু সময় পাওয়া যাচ্ছে সবাইকে অন্তত যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য আমি আরেকটা কথা বলবো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন করোনার জন্য বন্ধ ছিল। এখন সমস্ত স্কুল-কলেজগুলো খুলে গেছে। সবাইকে এখন পড়াশোনা করতে হবে। যার যার স্কুলে ফিরে যেতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category