• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
নারী-শিশু মামলায় বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে জনগণ: নয় বছরে ৫০৭ জনকে পিটিয়ে হত্যা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বস্তিবাসী-রিকশাচালকও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি ৬ষ্ঠ উপজেলায় নির্বাচন জয় হয়েছে চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ শুল্ক জটিলতায় বন্দরে আটকা ২০ অ্যাম্বুলেন্স, ক্ষুব্ধ আমদানিকারকরা চত্রনায়ক সোহেল হত্যায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন হজযাত্রীদের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান দেখাতে হবে: ধর্মমন্ত্রী এরশাদের ট্রাস্টের গাড়ি আত্মসাৎ, ফেরত পেতে আদালতের দ্বারস্থ বিদিশা

দেশের মানুষকে শিরোপা উৎসর্গ করলেন সাবিনা

Reporter Name / ৯৪ Time View
Update : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক : টানা খেলার ক্লান্তি এখনও সঙ্গী। ভ্রমণের ধকল তো আছেই। সাবিনা খাতুনের চেহারায় এই ছাপ স্পষ্ট। বিমানবন্দরে নামার পর থেকে ভালোবাসার ‘অত্যাচারও’ চলতে থাকল। ভিড়বাট্টা, হইহল্লায় এক-দু এগোনোই কঠিন। তবে শ্রান্তিকে পাত্তা না দিয়ে সারাক্ষণই মুখে চওড়া হাসি ঝুলিয়ে রাখলেন সাবিনা। বিমানবন্দরে দারুণ অভ্যর্থনা পেয়ে অভিভূত বাংলাদেশ অধিনায়ক গর্বিত কণ্ঠে তাদের স্মরণীয় সাফল্য উৎসর্গ করলেন দেশের মানুষকে। নেপালে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে বুধবার দুপুর দুইটার একটু আগে ঢাকায় পা রাখে বাংলাদেশ দল। বিমানবন্দরে নানা আয়োজনে তাদেরকে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে বিমানবন্দরেই ছোট্ট সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানান সাবিনা। “আমাদেরকে এত সুন্দর করে বরণ করে নেওয়ার জন্য আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী মহোদয় ও ফেডারেশনের যারা এসেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের মেয়েদের, বাংলাদেশের ফুটবল যে আপনারা এত ভালোবাসেন, এসব দেখে আমরা অনেক অনেক গর্বিত।” “সবাইকে ধন্যবাদ, আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ বলুন বা ১৮ কোটি কিংবা ২০ কোটি, এই ট্রফি বাংলাদেশের সব মানুষের।” নারী সাফে আগের সব আসরের চ্যাম্পিয়ন ও এবারও ফেভারিট হয়ে আসা ভারতকে গ্রুপ পর্বেই উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। একের পর এক জয় ও প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষেও দাপুটে জয়ে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ। সেই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সাবিনা। ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার তিনি, আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনিই। বাংলাদেশ নারী ফুটবলের মুখ হয়ে ওঠা এই ফুটবলার আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন, অনেক পরিশ্রম ও পরিকল্পনার ফসল এই জয়। এবার তারা তাকাতে চান আরও উঁচুতে। “আমাদের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন স্যার, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, মন্ত্রী মহোদয়ের সহায়তায় ২০১২ সাল থেকে মহিলা ফুটবল ভালোভাবে চলছে। মেয়েদের পরিশ্রম যদি দেখেন, ৪-৫ বছরের সাফল্য দেখেন, এতেই সব বোঝা যায়।” “সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাদের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে সামনের দিকে আরও কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।” বিমানবন্দরে সাবিনাদের নিয়ে ছিল কেক কাটার পর্ব। দলের সবার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বাইরে দলকে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় ছিল হাজারও জনতার ¯্রােত। তাদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা, ব্যানার। স্লোগানে মুখর ছিল চারপাশ। এক যুগের বেশি সময় ধরে নারী ফুটবলারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে আসা কোচ এবং এই সাফল্যের নেপথ্য কারিগর গোলাম রব্বানী ছোটনও মুগ্ধ দেশে ফিরে এমন সংবর্ধনা পেয়ে। “রাজসিক এই আয়োজনে আমাদের বরণ করে নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের এই পথচলা অনেক দিনের। অনেক পেছন থেকে আমরা উঠে এসেছি, ২০১২ সাল থেকে পরিবর্তনটা শুরু হয়েছিল। সবার অবদানেই আজকের এই সাফল্য।” বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সাজিয়ে রাখা ছাদখোলা বাসে উঠে যান দলের সবাই। পথজুড়ে দুই পাশে দেখা যায় জনতার ভিড়। নাত নাড়িয়ে গলা ফাটিয়ে তারা অভিবাদন জানান মেয়েদের। ট্রফি উঁচিয়ে, জাতীয় পতকিা উড়িয়ে অভিনন্দনের জবাব দেন সাবিনারা।
ট্রফি নিয়ে ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়নরা: সাফজয়ীদের নিয়ে দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ছাদখোলা বাসের শোভাযাত্রা । এ সময় তাদের ঘিরে রাখেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। রাস্তার দুই পাশে সাফজয়ীদের দেখে জনগণ হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। সাবিনারাও হাসিমুখে হাত নেড়ে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখান। খোলা ছাদের বাসে সামনে ট্রফি হাতে রয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার পাশে সানজিদা, মাশুরা পারভীনরা রয়েছেন। চ্যাম্পিয়নদের বাসটি বিমানবন্দর থেকে কাকলী-বনানী পার হয়ে জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে যায়। তারপর বিজয় সরণি, তেজগাঁও হয়ে পুনরায় ফ্লাইওভার দিয়ে মৌচাক হয়ে কাকরাইলে আসে। কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল-আরামবাগ। তারপর মতিঝিল শাপলা চত্বর ঘুরে পৌঁছায় বাফুফে ভবনে। সেখানে বাফুফে সভাপতি ও সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন তাদের সংবর্ধনা দেন।
রুপনার ঘর নির্মাণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস ঘরেছে বাংলাদেশ দল। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের গোল পোস্টের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে ছিলেন রুপনা চাকমা। মাত্র একবার পরাস্ত করা গেছে তাঁকে। সেই রুপনা চাকমার হাতেই উঠেছে টুর্নামেন্টসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। কিন্তু এই রুপনার নিজের বাড়িটা যেন সামান্য বৃষ্টি থেকেও রক্ষা করতে পারে না তাদের। সেই রুপনার ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,? ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে রুপনা চাকমার ঘর নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি এরইমধ্যে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এটি করে দিতে পারবো। ’ রুপনা চাকমার বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার দুর্গম ভুঁইয়া আদাম গ্রামে। সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের আরেক গর্বিত সদস্য ঋতুপর্ণা চাকমার বাড়ি কাউখালীর ঘাগড়া ইউনিয়নের মগাছড়ি গ্রামে।
কত টাকা পাচ্ছে সাফ জয়ী নারী চ্যাম্পিয়নরা: ৫০ লাখ টাকা করে সাফজয়ী মেয়েদের ১ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দুই সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী ও আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। বিমান বন্দরে সাফজয়ী মেয়েদের বরণ করতে গিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা অর্থপুরস্কারের ঘোষণা দেন সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া। সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম বাফুফে ভবনে অবস্থান করছিলেন মেয়েদের বরণ করে নেওয়ার জন্য। সেখানে তিনিও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যক্তিগতভাবে আরও ৫০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে সকালেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মেয়েদের সাফ ফুটবলের সাফল্যে ৫০ লক্ষ টাকারই অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাফ জয় করায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স এবং ঐতিহাসিক অর্জন দিয়ে পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে নারী ফুটবল দল। তাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি এবং তাদের প্রতি আমাদের সমর্থনের নিদর্শন হিসাবে, আমি বিসিবির পক্ষ থেকে পুরো দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করছি।
সংবর্ধনা দেবে বসুন্ধরা গ্রুপ: বিজয়ের নিশানা উড়িয়েছেন বাংলার মেয়েরা। ফুটবল দেশের সেরা জনপ্রিয় খেলা। অথচ দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দলের সাফল্য ছিল না। শেষ পর্যন্ত এ ব্যর্থতার অবসান ঘটল নারী জাতীয় দলের মাধ্যমে। ১৯ বছর পর কোনো জাতীয় দলের চ্যাম্পিয়নের ট্রফির দেখা মিলল। সাফ অঞ্চলের বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছেন সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া, স্বপ্নারা। ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। পুরুষ জাতীয় দল সাফ ফুটবলে একবারই ট্রফি জিতেছিল, ২০০৩ সালে, অপরাজিতভাবে। তবু মেয়েদের শিরোপাকে ফুটবল ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা অর্জন বলা যায়। গতকাল বুধবার দেশে ফিরছেন শিরোপাজয়ী বাংলার সোনার মেয়েরা। তাঁদের এ সাফল্যে উৎসাহ দিতে দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে নারী দলকে সংবর্ধনা ও উপহার দেওয়ার। উল্লেখ্য, ফাইনালে খেলা ১৪ ফুটবলারের মধ্যে ১৩ জনই ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের। এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট হারায়নি। ২৩ গোল দিলেও খেয়েছে মাত্র একটি। দুই হ্যাটট্রিকসহ টুর্নামেন্টে ৮ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। গোল্ডেন বুট ও টুর্নামেন্টসেরা পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের রুপনা চাকমা। দেশের ফুটবলে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন সাবিনারা। তাঁদের অভূতপূর্ব সাফল্যে দেশ আনন্দে ভাসছে। মেয়েদের সাফল্য তো হুট করে আসেনি। এর পেছনে পরিকল্পনা, পরিশ্রম ও সুযোগ-সুবিধা কাজে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাফুফের অবদান অবশ্যই আছে। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের অবদানও কম নয়। বরং এমন গতিশীল জাতীয় দল গড়ার পেছনে বসুন্ধরাই বড় ভূমিকা রেখেছে। নারী ফুটবল মূলত বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে সীমাবদ্ধ ছিল। জাতীয় দল তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগই পায় না। ২০১৬ সালে সাফের পর মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে এই যা। নারী মূল জাতীয় দল গড়তে মূলত সহায়তা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপই। তাদেরই নিজস্ব ক্লাব বসুন্ধরা কিংস নারী লিগে আসার পরই মেয়েরা নতুন প্রাণ পান। এ ব্যাপারে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘আসলে আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের প্রচেষ্টায় নারী দলের ভেতর সমন্বয় আনতে পেরেছি। চেয়ারম্যান স্যার খেলাধুলা কতটা ভালোবাসেন তা কারো অজানা নয়। ফুটবলকে জাগাতে তিনি যে পরিকল্পনা করেন তা মেনেই আমরা কাজ করি। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরও আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। ’ইমরুল বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা যেমন পুরুষ ফুটবলে বসুন্ধরা কিংস গড়েছি, তেমনি তাঁরই নির্দেশে নারী লিগে নাম লেখাই। তিনি বলতেন মেয়েদের মাঠে রাখতে হবে। হঠাৎ করে দু-একটি ম্যাচ খেলবে তাতে কোনো উন্নয়ন ঘটবে না। তাঁর কথার গুরুত্ব দিয়ে বসুন্ধরা কিংস নারী লিগে অংশ নিচ্ছে। শুধু শিরোপা নয়, আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন। ’ ইমরুল বলেন, ‘বসুন্ধরা কিংসের রোডম্যাপ মেয়েদের কিছুটা হলেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। দেখেন, এবার সাফ জাতীয় দলে ২৩ জনের মধ্যে ১৫ জনই বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়। আর ফাইনালে সেরা একাদশে খেলা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই ছিলেন কিংসের। এই খেলোয়াড়দের আমরা বড় অর্থের পারিশ্রমিক, উন্নতমানের ট্রেনিং, সুযোগ-সুবিধা সবই দিচ্ছি। অনুপ্রেরণা জোগাতে অর্থ বড় একটা ফ্যাক্টর। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকলে নির্ভার হয়ে খেলা যায়। বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা কিংস এর সবই দিয়েছে এবং দেবে। তাই গর্বের সঙ্গে বলতে পারি বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের পেছনে বসুন্ধরা কিংস ভূমিকা রেখেছে। ’ কিংসের সভাপতি বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যার বিশ্বাস করেন মেয়েরা তাদের সাফল্য অব্যাহত রাখবে। ফুটবলে আরো উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাতে বসুন্ধরা গ্রুপ নারী সাফজয়ী মেয়েদের বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেবে। আগামী মাসে হবে এ অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এর আগে আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে। নারী ফুটবল উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপ কাজ করছে এবং করে যাবে। এখন অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সবার প্রচেষ্টায় যেন আমরা বড় স্বপ্ন দেখতে পারি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category